গায়েবী মসজিদ
সিলেট >> বালাগঞ্জ
গায়েবী মসজিদটি বালাগঞ্জ থানার ওসমানপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। মসজিদটি বর্গাকার। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মিত বলে অনুমান করা হয়। মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ইট দ্বারা নির্মিত। টিলা কেটে মসজিদটি মাটির নিচ থেকে আবিস্কার করা হয় বলে স্থানীয়রা এটিকে গায়েবী মসজিদ নামে অভিহিত করে থাকে। বালাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে এই মসজিদটি প্রায় ৮ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
হাকালুকি হাওড়
সিলেট >> বিয়ানীবাজার
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়তনের হাওড় নামে পরিচিত হাকালুকি হাওড়ের একটি অংশ পড়েছে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোপালগঞ্জ উপজেলায়। বাকি অংশ রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। হাওড়টির বেশি ভাগ অংশই (প্রায় ৭০ ভাগ) রয়েছে এই মৌলভীবাজারে। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া উপজেলায় বিস্তৃত। হাওড়টিতে প্রায় ২৩৮টি বিল রয়েছে। এই হাওরটি বাংলাদেশের সংরক্ষিত স্বাদু পানির একটি বৃহৎ জলাশয়। শীতকালে হাওরটি অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে। মূলত এশিয়ার উত্তরাংশের সাইবেরিয়া থেকে এসকল অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে। বর্ষার মৌসুমে চারদিকের অথৈই পানি দেখতে মনে হবে এটি যেন একটি সমুদ্র। হাওরটিতে প্রায় ৫শতাধিক প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এবং এটি শতাধিক প্রজাতির মাছের বিচরণস্থল। হাওরটিতে ঘুরতে চাইলে আপনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কোন একটি গ্রামে যেতে পাবেন। সেখান থেকে এই হাওরটিতে নৌকাযোগে ঘুরতে পারেন। শুধু কুলাউড়া নয় সিলেটের যে সকল উপজেলায় এই হাওরটির বিস্তৃতি রয়েছে এর যে কোন একটি থেকেও এই হওরে ঘুরতে পাবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
মালনীছড়া চা বাগান
সিলেট >> সিলেট সদর
মালনীছড়া চা বাগান বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন চা বাগান হিসেবে গণনা করা হয়। ব্রিটিশ আমলে হার্ডসন নামের এক ইংরেজ এই চা বাগানটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়। ১৮৫৪ সালে এই চা বাগানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সিলেটের বিমানবন্দরের নিকটেই দেখতে পাবেন এই চা বাগানটি। চা বাগানটি ঘুরে দেখার জন্য বাগান কর্তৃপক্ষের অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। যারা অতি অল্প সময়ের জন্য সিলেট ভ্রমনে আসেন এবং চা বাগান ঘুরে দেখতে চান তাদের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান এই চা বাগানটি।
সিলেট শহর থেকে বিমানবন্দর রোডে যে কোন যানবাহনে করে এখানে ঘরতে আসতে পারবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার
সিলেট >> সিলেট সদর
হযরত শাহ জালাল (র) ছিলেন একজন আউলিয়া এবং ধর্ম প্রচারক। তিনি ছিলেন আরবের ইয়েমেনের অধিবাসী। ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালাল (র.) ৩৬০ আউলিয়াকে নিয়ে সিলেটে আগমন করেন। ৩৬০ জন আউলিয়াকে নিয়ে এই আধ্যাত্মিক পুরুষের সিলেটে আগমনের কারনে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়ে থাকে। ১৩৪৬ সালে এই মহাপুরুষের মৃত্যু হয়। তার মাজার এই সিলেট জেলা শহরের গোয়াইপাড়ার দরগা মহল্লার একটি পাহাড়ী টিলায়। মাজার এলাকায় দেখতে পাবেন একটি পুকুর। এখানে একসময় গজার মাছ নামে বড় বড় মাছ ছিল। ২০০৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কিছু দুষ্কৃতিকারী পুকুরে বিষ প্রয়োগ করলে সকল মাছ মারা যায়। পরবর্তীতে মৌলভীবাজার হতে কিছু গজার মাছ এখানে এনে ছেড়ে দিলে মাছের বংশবৃদ্ধি পেয়ে আবারও পুকুরটি গজার মাছে পূর্ণ হয়। মাছগুলো হযরত শাহজালাল (র.) এর সফরসঙ্গী মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফার (র.) মাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। মাজারের দক্ষিন দিকে তারকাখচিত একটি ছোট্ট ঘর দেখতে পাওয়া যাবে। এটি চিলস্নাখানা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, এই ছোট্ট ঘরটিতে বসে হযরত শাহজালাল (র.) প্রায় ২৩ বছর আরাধনা করেছিলেন। মাজার কমপ্লেক্সের মধ্যে দর্শনার্থীদের জন্য হযরত শাহজালাল (র.) এর ব্যবহৃত তলোয়ার, খড়ম এবং কিছু তৈজসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। মাজার চত্তরে একটি প্রাচীন মসজিদ দেখতে পাবেন। ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান আবু মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহের মন্ত্রী মজলিশে আতার এর আমলে নির্মিত। ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। মসজিদটি দরগা মসজিদ নামে পরিচিত।
হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার দর্শন করতে চাইলে সিলেট শহরের গোয়াইপাড়ার দরগা মহল্লার যেতে হবে। সিলেট শহর থেকে যে কোন যানবাহনে এখানে আসা যাবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
হযরত শাহ্ পরান (র.) এর মাজার
সিলেট >> সিলেট সদর
সিলেটের খাদিমপাড়ায় রয়েছে হযরত শাহ্ পরান (র.) নামের একজন আউলিয়ার মাজার। সিলেটবাসীর তথা বাংলাদেশীদের কাছেও এটি একটি পবিত্র স্থান। হযরত শাহ্ পরান (র.) ছিলেন হযরত শাহজালাল (র.) এর সফরসঙ্গী। ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালাল (র.) এর সঙ্গে তিনি এই সিলেট অঞ্চলে আসেন। তিনিও একজন ধর্ম প্রচারক ছিলেন। শাহ জালাল (রঃ) দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কিমি দূরে একটি উঁচু টিলার উপর শাহ পরান (রঃ) এর মাজারটি অবস্থিত। একারনে অনেক পর্যটক সিলেট ঘুরতে আসলে এই দুটি মাজার দর্শন করে যান। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ক্বীন ব্রিজ
সিলেট >> সিলেট সদর
সিলেট শহরে প্রবেশ করতে হলে যেতে হবে এই ক্বীন ব্রিজ দিয়েই। তাই, এটিকে সিলেটের প্রবেশদ্বার বলা হয়। সিলেটের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান সুরমা নদীর উপর এই ব্রিজটি নির্মিত হয় ১৯৩৬ সালে। তৎকালীন ইংরেজ গভর্নর মাইকেল ক্বীনের নামানুসারে ব্রিজটির নামকরন করা হয়। দৃষ্টিনন্দন এই ব্রিজটির নির্মাণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যেটি সহজেই দৃষ্টি কাড়ে তা হলো এটি নির্মিত হয়েছে ধনুকের মত বাঁকানো করে। প্রায় ১১৫০ ফুট লম্বা ও ১৮ ফুট চওড়া এই ব্রিজটি লোহা দিয়ে নির্মিত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্রীজের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে কাঠ এবং বেইলি পার্টস দিয়ে মেরামত করা হয়। কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ব্রিজটি আজও অতীতের মতই আছে।
ব্রিজটি সিলেট শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত। রিক্সা কিংবা অটোরিক্সায় করে এখানে আসতে পারবেন সিলেট শহরের যে কোন স্থান থেকে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
হাসন রাজার জাদুঘর
সিলেট >> সিলেট সদর
সিলেটের জিন্দা বাজারের নিকটেই রয়েছে মরমী কবি নামে খ্যাত হাছন রাজার জাদুঘরটি। এটি মিউজিয়াম অব রাজাস নামে পরিচিত। এখানে হাসন রাজা এবং তার পরিবারের তথ্যাদি, তাদের ব্যবহৃত নানান আসবারপত্র, তৈজসপত্র, পোশাক, গহনা ইত্যাদি প্রদর্শিত হচ্ছে। দেখতে পাবেন হাসন রাজার গানের পাণ্ডুলিপি। দেওয়ান হাছন রাজা সুনামগঞ্জ জেলায় ১৮৫৪ সালের ডিসেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ১৯২২ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হাসন রাজার গান বাংলা লোকসঙ্গীতের এক অমুল্য সম্পদ।
মরমী শিল্পী হাসন রাজার দেখতে চাইলে সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে যেতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
লালাখাল
সিলেট >> জৈন্তাপুর
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী, নদীর বুকে ভেসে থাকা নৌকা সবকিছুই যেন প্রকৃতির নিজের হাতে আকা কোন ছবি। ছবির মত এই স্থানটি উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখালে। দেশের অন্যতম বৃষ্টি প্রধান এলাকা এই লালাখাল। লালাখাল মূলত একটি গ্রামের নাম। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সারী ও গোয়াইন নদী। নদীর পানির রঙ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। চাইলে নৌকায় করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এই নদীতে। নদীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলো দেখলে মনে হবে কেউ যেন সবুজের প্রলেপ দিয়ে রেখেছে এইসব পাহাড়ের উপর। পর্যটকদের থাকার জন্য এখানে রয়েছে রিসোর্ট। রয়েছে চা বাগানও।
সিলেট জেলা থেকে মাইক্রবাসে কিংবা অন্য কোন যানবাহনে সরাসরি যেতে পারবেন সারী নদীর সারীঘাটে। সেখান থেকে লালাখালে যেতে হবে নৌপথে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ডিবির হাওর
সিলেট >> জৈন্তাপুর
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় ডিবির হাওর নামের এক বিশাল হাওর রয়েছে। হাওরটি ভারতের সীমানা ঘেঁসে রয়েছে। এখান থেকে দেখতে পাবেন দূরের ভারতের পাহাড় বেষ্টিত অঞ্চল। হাওর থেকে এসকল পাহাড় দেখলে মনে হবে সাগরের পাশের পাহাড়। হাওরটিতে ৪টি বিল রয়েছে। প্রায় ৯০০ একর জলাভুমি এই হাওরটি। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
পানতুমাই ও লক্ষন ছড়া
সিলেট >> গোয়াইনঘাট
পানতুমাই ও লক্ষন ছড়া এ দুটি হলো ঝর্ণা। সিলেট জেলার গোয়াইন ঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দেখতে পাবেন এই দুটি ঝর্ণা। ঝর্ণা দুটি ভারতের ভূখণ্ডে হওয়ায় এর কাছাকাছি না যেতে পারলেও এর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সবুজের মাঝে ঝর্ণাধারা দুটির জলপ্রপাত অতি দৃষ্টি নন্দন। পানতুমাই ঝর্ণাটি দেখতে হলে যেতে হবে গোয়াইলঘাটের হায়দারপাড় এর পানতুই নামের গ্রামটিতে। এবং লক্ষনছড়া ঝর্ণাটি দেখতে হলে রুস্তমপুর গ্রামে যেতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
বিছানাকান্দি
সিলেট >> গোয়াইনঘাট
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যের নীলাভুমি এই বিছানাকান্দি। পাথুরে নদী আর স্বচ্ছ বহমান পানির স্রোত পর্যটকদের মুগ্ধ করে। ছোট বড় পাথরের মধ্য দিয়ে বহমান এই পানির স্রোতটি পিয়াইন নদীর। নদীর অপরপাশেই আছে বড় বড় পাহাড় আর ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এটি সিলেট জেলার অন্যতম পাথর কোয়ারী স্থান। এই স্থানটি ঘুরতে হলে সবচেয়ে ভাল সময় হবে বর্ষাকাল। এসময় পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা শীতল পানির স্রোত খুবই মনোমুগ্ধকর। শুস্ক মৌসুমে মনে হবে এটি শুধুই পাথরের রাজ্য।
সিলেট শহর থেকে যেকোন যানবাহনেই এখানে যাওয়া যাবে। সিলেট শহর থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত যাতায়াত করার ব্যবস্থা করেছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
জাফলং
সিলেট >> গোয়াইনঘাট
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি, পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো জাফলং। বাস কিংবা জিপ অথবা অন্য যে কোন যানবাহনে করে অনায়াসে ছুটে যেতে পারেন এই স্থানটিতে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা নদী, নদীতে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা এসবই মুগ্ধ করবে আপনাকে। এসকল ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে নদীতে ঘুরে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর অনুভুতি আপনিও নিতে পারেন। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকেই আবার নদীর স্বচ্ছ টলমল জলে গা ভিজিয়ে নেয়। জাফলং পাথর উত্তোলনের জন্য বিখ্যাত। নদী পথে ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর সময় নদীর স্বচ্ছ পানিতে এর তলদেশে প্রচুর পাথর সহজেই দেখা যায়। নদীর একপাশে বাংলাদেশ এবং অপর পাশে দেখতে পাবেন উঁচু উঁচু পাহাড়ের উপর ছোট ছোট ঘর এবং রাস্তা, যেটি ভারতের সীমানায় পড়েছে। ভারতের অংশের দুই পাহাড়ের সংযোগ হিসেবে দেখতে পাবেন একটি ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি ভারতের ডাউকি বন্দরে অবস্থিত। জাফলং ঘুরে দেখতে পাবেন খাসিয়া পল্লী ও তাদের বিচিত্র জীবন পদ্ধতি ও ঘরবাড়ি। আরও আছে চা বাগান। এখানে রয়েছে খাসিয়া, জৈন্তা ও ত্রিপুরা পাহাড়। শীত মৌসুমে দূর-দুরান্ত থেকে অনেকেই এই জনপ্রিয় পর্যটন স্পটটিতে আসেন পিকনিক করতে।
জাফলং এ আসতে হলে সিলেট শহর থেকে মাইক্রোবাস, সিএনজি বা স্থানীয় যানবাহনে এখানে আসতে পারবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
রাতারগুল
সিলেট >> গোয়াইনঘাট
বাংলাদেশের আমাজান নামে খ্যাত এই রাতারগুল বনটি যদি দেখতে চান তবে আপনাকে যেতে হবে সিলেট থেকে বেশ কিছু দূরে। সিলেট জেলার গোয়াইলঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে এই বনটি রয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট (Swanp Forest)বা জলাবন এটি। বনের ভেতরে রয়েছে একটি বিল। বনটি ঘুরে দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই নৌকাযোগে ঘুরে দেখতে হবে। পাহাড়ী বনের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বারবার হাতছানি দিবে যদি একবার এই বনটি ঘুরে যান। বনটির আয়তন প্রায় ৩৩২৫ একর। বিশ্বে এই ধরনের বন আছে ২২টি। এর মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে যে দুটি দেশে এই ধরনের বন রয়েছে তার মধ্যে একটি বাংলাদেশে রয়েছে। সিলেটের বিখ্যাত শীতলপাটির মূল উপাদান মুর্তার এক বড় সংগ্রহশালা এই বনটি। এই বনের ভেতর যতই যাবেন, ততই বনের গভীরতা বাড়তে থাকবে। এমনও স্থান রয়েছে যেখানে সূর্যের আলো ঠিকভাবে পৌছতে পারে না। এই বনটির ভেতরে ভ্রমনের সময় মনে হবে, আপনি বিশ্বখ্যাত আমাজান বনের গহীনে চলে এসেছেন। স্থানটি সিলেট সদর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে। শীতকালে এই বনটি শুকনো অবস্থায় থাকে। তাই, এই বনে ভ্রমনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো বর্ষাকাল। বর্ষাকালে এই বনের গাছগুলির অর্ধেকই থাকে পানির নিচে। পর্যটকদের জন্য এখানে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।
সিলেট শহর থেকে যেকোন যানবাহনেই এখানে যাওয়া যাবে। সিলেট শহর থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত যাতায়াত করার ব্যবস্থা করেছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন