পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান


জেলাঃ চট্রগ্রাম

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
চট্রগ্রাম >>  পতেঙ্গা (থানা)

পর্যটকদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্পট এই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। সৈকতটি চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাহাড় আর সমুদ্রের বিশাল জলরাশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে বারবার। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

কট্টালী সমুদ্র সৈকত/ জেলে পাড়া সমুদ্র সৈকত
চট্রগ্রাম >>  পাহাড়তলী (থানা)

চট্টগ্রাম শহরের নিকটে কট্টালী নামক স্থানে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত আছে। অনেকের কাছে এটি জেলে পাড়া সমুদ্র সৈকত নামেও পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ফ'য়েজ লেক
চট্রগ্রাম >>  পাহাড়তলী (থানা)

চট্টগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে পাহাড়তলী রেলস্টেশনের নিকট বিখ্যাত এই ফ'য়েজ লেক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার, পাহাড় আর সবুজের এক অপূর্ব পরিবেশে এই ফ'য়েজ লেক। এটি একটি বিনোদন স্পটও। লেকে ঘুরতে চাইলে আপনাকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। পাশেই দেখতে পাবেন একটি চিড়িয়াখানা। লেকটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে কেউ না বলে দিলে আপনার মনে হবে, প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি এই ফ'য়েজ লেক।
১৯২৪-১৯২৫ সালে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ইংরেজ প্রকৌশলী মি. ফয় এর পরিকল্পনা ও নকশার ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এই ফ'য়েজ লেকটি। হ্রদটি সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার জন্য পানি সরবরাহ করা। ইতিহাস সুত্রে জানা যায়, এই পানি সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে সে সময়ে ইঞ্জিনিয়ার ফয়'কে প্রধান করে Foy Water Scheme গঠন করা হয়েছিল। মিঃ ফয় বিভিন্ন সম্ভাবনাময় জরিপ চালিয়ে ১৯২৪-১৯২৫ সালে পাহাড়তলি নামক স্থানটির দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে বাঁধ দিয়ে বিস্তীর্ণ এক কৃত্রিম জলাভূমির সৃষ্টি করেন। বাঁধটি প্রায় ১৩০ ফুট লম্বা এবং ৭০ ফুট উঁচু করে তৈরি করা হয়েছিল। মিঃ ফয় এর অবদানকে চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই লেকটির নামকরন করা হয়েছিল ফয়'স লেক। পরবর্তীতে কালক্রমে লোকমুখে এই ফয়'স লেকটি ফয়েজ লেক নামে বেশি পরিচিতি পায়।
শুরুতে এই স্থানটি ঘন জঙ্গল থাকায় মানুষজনের আনাগোনা এখানে ছিল না। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এই হ্রদটিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে একটি বিনোদন কেন্দ্র। প্রকৃতিপ্রেমী আর দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকায় ১৯৯৩ সালে এই পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিল মোহনা নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ধীরে ধীরে ফ'য়েজ লেকটি পর্যটন এবং বিনোদন স্পট হিসেবে খুবই পরিচিতি লাভ করে। ২০০৪ সালে এই স্থানটি পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অধীনে চলে আসে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনকর্ড এর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায়। আমূল পরিবর্তন সাধিত হয় এই পার্কটির। পরিনত হয় একটি আন্তর্জাতিক মানের এমিউজমেন্ট পার্কে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে হ্রদটির উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট। চাইলে পার্কের হ্রদটিতে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন। পার্কের অভ্যন্তরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান ও স্টল। এই লেকটি বাংলাদেশের তথা দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মানবসৃষ্ট স্বাদুপানির হ্রদ। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

চক্রশালা বিহার
চট্রগ্রাম >>  পটিয়া

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় এই চক্রশালা বৌদ্ধ বিহারটি দেখতে পাবেন। এখানে নির্মিত আদি বিহারটির স্থলে একটি নতুন বিহার নির্মাণ করা হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, গৌতম বুদ্ধ এখানে ক্ষণকাল অবস্থান করেছিলেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

বাঁশখালী ইকোপার্ক ও চুনতি অভয়ারণ্য এবং সমুদ্র সৈকত
চট্রগ্রাম >>  বাঁশখালী

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে বাঁশখালী উপজেলায় বাঁশখালী ইকোপার্কটি দেখতে পাবেন। উঁচু নিচু পাহাড়, ঝর্ণা, সমুদ্র, ঝুলন্ত ব্রিজ, পাহাড়ি বনের এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ এই স্পটটি। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন এর আলোকে ৭৭৬৪.০ হেঃ বনভূমি নিয়ে চুনতি অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩-২০০৪ সালে চুনতি অভয়ারণ্যের ১০০০.০ হেক্টর এলাকা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাঁশখালী ইকোপার্কের। এই চুনতি অভয়ারণ্যের অভ্যন্তরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্ণাধারা। শীত মৌসুমে এই বাঁশখালী ইকোপার্ক ও সৈকতটি শুধুমাত্র একটি পর্যটন স্পটই থাকে না। এটি পিকনিক স্পটের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। পাহাড়, সমুদ্র আর সবুজের এক নয়নাভিরাম পরিবেশ আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। ইকোপার্কটি ও চুনতি অভয়ারণ্যে প্রায় ৩ শতাধিক প্রাজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। রয়েছে ৪৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৮৫ প্রজাতির পাখি, ২৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৭ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। পার্কটিকে এক নজরে দেখতে চাইলে রয়েছে দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এ টাওয়ার থেকে দেখতে পাবেন পাহাড়, অভয়ারণ্য, বঙ্গোপসাগর, কুতুবদিয়া চ্যানেল। উঁচু-নিচু পাহাড়ে উঠানামার সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে সিঁড়ি। ইকোপার্ক ও চুনতি অভয়ারণ্যে নির্মাণ করা হয়েছে কৃত্রিম হ্রদের। এই হ্রদে পর্যটকদের নৌ ভ্রমনের জন্য রয়েছে পর্যটন বোট, প্যাডেল বোট, সোয়ান বোট এবং স্পীড বোট। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

চুনতি অভয়ারণ্য
চট্রগ্রাম >>  বাঁশখালী

চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বাঁশখালী, লোহাগড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজেলার প্রায় ৭৭৬৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে এই চুনতি অভয়ারণ্য। এই অভয়ারণ্যটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বন্যহাতীর যাতায়াতের করিডোর হিসেবে পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

বখশী হামিদ মসজিদ
চট্রগ্রাম >>  বাঁশখালী

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার হিলসা গ্রামে বখশী হামিদ মসজিদ নামের এই প্রাচীন মসজিদটি দেখতে পাবেন। মসজিদটি সম্পূর্ণ ভাবে ইট দ্বারা নির্মিত। মসজিদটির স্থাপত্য কৌশলে মোঘল এবং সুলতানী স্থাপত্যের সমন্বয় দেখা যায়। এই প্রাচীন মসজিদটি সপ্তদশ শতাব্দির একটি নিদর্শন বলে মনে করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

বায়েজিদ বোস্তামির মাজার
চট্রগ্রাম >>  বায়জিদ বোস্তামী (থানা)

চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত এই মাজারটি চট্টগ্রামের সর্বাপেক্ষা পবিত্রতম স্থান। এটি হযরত বায়েজিদ বোস্তামির উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি স্মৃতি স্তম্ভ। তবে, অনেক ধর্মপ্রাণ সরল মনের মানুষ বিশ্বাস করেন যে, এই মাজারটি হযরত বারেজিদ বোস্তামির প্রকৃত সমাধিস্থল। উল্লেখ্য ৮৭৪ সালে সুলতান বায়েজিদ বোস্তামি তার নিজ দেশ ইরানের বোস্তান শহরে ইন্তেকাল করেন। এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।
মাজারের পাশেই পুকুরের মাছ ও কাছিমগুলো নিয়ে কিংবদন্তী কাহিনী প্রচলিত আছে। জনশ্রুতি আছে, এগুলো দুষ্ট জীন ছিল। জীনগুলো হযরত বায়েজিদ বোস্তামির এবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করছিল বিধায়, বায়েজিদ বোস্তামি তার অলৌকিক ক্ষমতাবলে সেগুলোকে মাছ এবং কাছিমে রূপান্তর করে বন্ধী করে ফেলেন। ২০০৫ সালে কিছু দুষ্কৃতিকারী এই পুকুরে বিষ ঢেলে দিলে মাছগুলো মারা যায়।
এই মাজারটির পাশেই ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ দেখতে পাবেন। মসজিদটি অষ্টাদশ শতকে নির্মিত। এটি আওরঙ্গজেব মসজিদ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

মহামায়া কৃত্রিম হ্রদ
চট্রগ্রাম >>  মীরসরাই

চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ এই মহামায়া হ্রদটি। হ্রদটি মূলত একটি সেচ প্রকল্পের অধীনে সৃষ্টি করা হয়েছে। দুটি পাহাড়ের মধ্যে বাঁধ দিয়ে এই কৃত্রিম হৃদটি তৈরি। ২০১০ সালে এই হ্রদটি চালু করা হয়। হ্রদের চারপাশে পাহাড় আর প্রাকৃতিক বন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পটে পরিনত হচ্ছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ছুটি খানের মসজিদ
চট্রগ্রাম >>  মীরসরাই

মিরসরাই উপজেলার জোরওয়ারগঞ্জ ইউনিয়নের পরাগলপুরে ছুটি খানের মসজিদ নামের একটি মসজিদ দেখতে পাবেন। আয়াতাকারে নির্মিত এই মসজিদটিতে ৩টি গম্বুজ ছিল। পশ্চিম দেয়ালে আছে ৩টি মিহরাব। আনুমানিক ষষ্ঠদশ শতাব্দিতে এই মসজিদটি নির্মিত হয় বলে জানা যায়। মসজিদটি বর্তমানে পূর্বের অবস্থায় নেই। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

সুদর্শন বিহার / বড় কেয়াং
চট্রগ্রাম >>  রাউজান

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে এই সুদর্শন বিহারটি দেখতে পাবেন। স্থানীয়ভাবে, এই বিহারটি ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ফরাচিন বিহার
চট্রগ্রাম >>  রাউজান

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার বাগোয়ান ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামে ১৭৮৫ সালে নির্মিত ফরাচিন নামের এই বিহারটি রয়েছে। চাকমা সম্প্রদায়ের বদু নামক এক ব্যক্তি এই বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। বিহারের অভ্যন্তরে কালো পাথরের একটি বৌদ্ধমূর্তি রয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

মহামুনি বিহার / মহামুনি মন্দির
চট্রগ্রাম >>  রাউজান

মহামুনি বিহারটি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের পাহাড়তলী গ্রামে দেখতে পাবেন। বিহারটি মহামুনি মন্দির নামেও পরিচিত। ১৮১৩ সালে চট্টগ্রামের এক বৌদ্ধ ভিক্ষু অমর চাইংগ ঠাকুর এখানে একটি মহামুনি মূর্তি স্থাপন করেন। এই মহামুনি মূর্তিটি মিয়ানমারের আরকানের মহামুনির অনুকরনে নির্মিত। এখানে স্থাপিত বৌদ্ধ মূর্তিটি বৃহদাকারের। মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ৩২ফুট। আদিতে এই বিহারটি বাঁশ দ্বারা নির্মিত ছিল। বাঁশ দ্বারা নির্মিত এই বিহারটি আগুনে পুড়ে গেলে পরবর্তীতে তা ইট দ্বারা পুনঃনির্মাণ করা হয়। এখানে প্রতি চৈত্র সংক্রান্তিতে মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলাটি মহামুনি মেলা নামে পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

আঁধার মানিক কল্যান বিহার
চট্রগ্রাম >>  রাউজান

চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে আঁধার মানিক কল্যান বিহার নামের একটি বিহার দেখতে পাবেন। ১৬৯৪ সালে এই বিহারটি নির্মিত হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

চাকমা রাজবাড়ি
চট্রগ্রাম >>  রাঙ্গুনিয়া

চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর নামের একটি স্থানে দেখতে পাবেন সতের শতকে নির্মিত একটি চাকমা রাজবাড়ি। বাড়িটি বর্তমানে জীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। এই রাজবাড়ি কমপ্লেক্সে রাজপ্রসাদ ছাড়াও ছিল সৈন্যশালা, বন্দিশালা, হাতি ও ঘোড়াশালা ইত্যাদি। এখানে একটি প্রাচীন পুকুর আছে, এর নাম ছিল ছেলেমা পুকুর। রাজবাড়ির এক রাণীর নামানুসারে এই পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছিল। ছেলেমা ছিলেন এই রাজবংশের রাজা শুকদেব রায়ের রাণী। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

1  2  3  Next  Last  



পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান