পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান


জেলাঃ টাঙ্গাইল

আতিয়া জামে মসজিদ ও শাহ আদম কাশ্মীরির মাজার
টাঙ্গাইল >>  দেলদুয়ার

টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া নামক গ্রামে এই মসজিদটি অবস্থিত। টাংগাইল জেলার মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন ও প্রাচীন মসজিদ এটি। বায়েজিদ খান পন্নীর পুত্র সাঈদ খান পন্নী ১৬০৮-০৯ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে ছিলেন মুহাম্মদ খাঁ নামক একজন স্থপতি। মসজিদটির প্রধান কক্ষটি বর্গাকারে নির্মিত। এই কক্ষটির উপর একটি বৃহদাকার গম্বুজ রয়েছে। এর পূর্ব দিকের বারান্দায় আরও ৩ টি ছোট গম্বুজ আছে। মসজিদটির দেয়াল অত্যন্ত পুরু, এটি প্রায় ৭.৫ ফুট। মসজিদের ৪ কোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতির মিনার রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরের পশ্চিম দেয়ালে ৩ টি সুদৃশ্য মিহরাব রয়েছে। পূর্ব দিকের বারান্দায় ৩ টি এবং মুল কক্ষে প্রবেশের জন্য একই দিক থেকে আরও ৩টি প্রবেশপথ রয়েছে। একই ভাবে বারান্দাসহ উত্তর-দক্ষিন দেয়ালে ২ টি করে প্রবেশ পথ আছে। মসজিদটিতে সুলতানি ও মোঘল আমলের স্থাপত্য রীতির এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। অন্যদিকে, বাংলার স্থাপত্য ও এর অলঙ্করণ সবই ফুটে উঠেছে টেরাকোটা এবং ইটের খোঁদাই নকশার মাধ্যমে। সবমিলে, এটি একটি অন্যন্য দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা।
মসজিদটির নিকটেই আছে একটি মাজার। এটি শাহ বাবা কাশ্মীরি নামক একজন পীরের কবর। শাহ বাবা কাশ্মীরির জন্ম পনেরো শতকে। ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি এখানে এসেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। কবরের গায়ের এক শিলালিপি অনুযায়ী, তিনি ১৫০৭ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ কলে এখানেই কবর দেয়া হয়। টাংগাইল সদর থেকে সিএনজি বা অন্য কোন যানবাহনে করে এই স্থানটিতে আসা যায়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

দেলদুয়ার জমিদারবাড়ি মসজিদ
টাঙ্গাইল >>  দেলদুয়ার

টাংগাইলের দেলদুয়ার উপজেলার জমিদার বাড়ীর মসজিদটি এক দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকলার অনন্য উদাহরন। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনে চারটি বুরুজ দেখতে পাওয়া যাবে। এই বুরুজগুলোর চূড়ায় রয়েছে ছোট আকৃতির গম্বুজ । এছাড়াও মসজিদের প্রবেশ পথের দুপাশ দিয়ে নির্মিত হয়েছে অপেক্ষাকৃত সরু আকারের দুটি করে মোট চারটি টানেল। এগুলোর প্রত্যেকটির চূড়ায় আবার রয়েছে ছোট ছোট গম্বুজ । মসজিদটি আয়তাকারে নির্মিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

দেলদুয়ার রাজবাড়ি/ জমিদারবাড়ি
টাঙ্গাইল >>  দেলদুয়ার

টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন এই দেলদুয়ার জমিদারবাড়িটি। কারুকার্য মণ্ডিত এই জমিদার ভবনটি দেখলে মনে হবে এখনও কোন জমিদার যেন ভবনটিতে আছে। জমিদার ভবনটি এখনও পূর্বের ন্যায় মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে রয়েছে। একতলা ভবন বিশিষ্ট এই জমিদারবাড়িটি এখনও নতুন এর মত দেখায়। জমিদার বাড়ীর প্রধান দরজার উপর ছাদে মুকুটের ন্যায় বিশেষ নকশা করা রয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

উপেন্দ্র সরোবর
টাঙ্গাইল >>  নাগরপুর

নাগরপুর জমিদার উপেন্দ্র চৌধুরীর পুত্র রায় বাহাদুর সতীশ চৌধুরী ও সুরেশ চৌধুরী এই সরোবরটি খনন করেন। সরোবরটি ১১ একর জমির উপর ১২টি পাকা ঘাঁট বিশিষ্ট একটি পুকুর। সতীশ চৌধুরী ও সুরেশ চৌধুরী তাদের পিতা উপেন্দ্র চৌধুরীর নামে সরোবরটির নামকরন করেন "উপেন্দ্র সরোবর" নামে। এটি জমিদার তার প্রজাদের পানীয় অভাব দূর করার জন্য খনন করেছিলেন। এসময় আরও কয়েকটি কূপ খনন করেছিলেন। সরোবরের চারদিকে খেজুর গাছের বেষ্টনী সরোবরটির সৈন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সরোবরটি এবং কূপ ১৩৩৮-১৩৪১ বঙ্গাব্দ সময়ের মধ্যে খননকৃত। এই উপেন্দ্র সরোবরের পাশেই দেখতে পাবেন একটি প্রাচীন শিবমন্দির। টাংগাইল জেলা শহর থেকে সিএনজি যোগে খুব সহজেই নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানটিতে আসা যায়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

তেবাড়িয়া মসজিদ
টাঙ্গাইল >>  নাগরপুর

মোঘল আমলে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ এই তেবাড়িয়া মসজিদটি। তেবাড়িয়া গ্রামের অধিবাসী মৃধা বংশোদ্ভূত আব্দুল মালেক খা মৃধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে চাইলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবাড়িয়া নামক গ্রামে যেতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

নাগরপুর জমিদার বাড়ী/ চৌধুরী বাড়ী
টাঙ্গাইল >>  নাগরপুর

টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলার জমিদার বাড়িটি টাংগাইল জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। জমিদার উপেন্দ্র চৌধুরীর পুত্র সতীশ চৌধুরীর বাড়ী ছিল এটি। রাজবাড়িটিতে প্রচুর শ্বেতপাথরের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আঠার শতকে এই রাজবাড়িটি নির্মিত বলে অনুমান করা হয়। বাড়িটির ঝুলন্ত বারান্দা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। দৃষ্টিনন্দন এই জমিদার বাড়িটি বর্তমানে মহিলা কলেজের ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই রাজবাড়ী কমপ্লেক্সে পূজা-অর্চনার জন্য তৈরি করা হয়েছিল ঝুলন দালান। ছিল একটি ঘোড়ার দালান। টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলা সদরে এই জমিদার বাড়িটি দেখতে পাবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী
টাঙ্গাইল >>  নাগরপুর

১৯১৫ সালে নির্মিত এই জমিদার বাড়িটি আজও তৎকালীন জমিদারদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের সাক্ষ্য বহন করছে। রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল নামের এক ব্যক্তি এই জমিদারবাড়িটি নির্মাণ করেন। ইংরেজদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে জমিদারীত্ব লাভ করেন তিনি। জমিদারের দুই পুত্রেরও এখানে অট্টালিকা ছিল। এই অট্টালিকার নির্মাণ কৌশলে প্রাচ্যের নির্মাণ কৌশলের মিল দেখতে পাওয়া যাবে। জমিদার বাড়ীর সামনে রয়েছে নাট মন্দির। বাড়িটির কারুকার্য আজও যেন জমিদারদের সৌন্দর্যপ্রিয়তা ও রুচির পরিচয় দেয়। পাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি দেখতে হলে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নে যেতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

মধুপুর গড়/শালবন/ইকোপার্ক ও পিকনিক স্পট
টাঙ্গাইল >>  মধুপুর

বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক বন মধুপুর শালবন। স্থানীয়দের নিকট এটি 'গজারি বন' নামে পরিচিত। এই বনে গারো, কোচ, বামনসহ বেশ কয়েকটি নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। এখানে শীতকালে প্রচুর দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। কেউ কেউ দল বেঁধে পিকনিক করতে আসে। জুঁই এবং চামেলি নামের দুটি পিকনিক স্পটও রয়েছে। রয়েছে বিশ্রামাগার। চাইলে এখানে বিশ্রামও নিতে পারেন। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দূরে এই মধুপুর বনটি রয়েছে। শীত শেষে বনের গাছপালার ডালে যখন নতুন পাতা আসে তখন এই বনের সৌন্দর্যও যেন বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বনের ভিতর দিয়ে পায়ে হেঁটে চললে মাটিতে পড়ে থাকা শুকনো পাতার মর্মর শব্দ আর মাথার উপর নতুন সবুজ পাতা, পাখির কলরব যেন প্রকৃতির অন্য ভুবনে নিয়ে যাবে আপনাকে। এই শালবনে প্রবেশের জন্য টাংগাইল-ময়মনসিংহ সড়কের রসুলপুর মাজার নামক একটি স্থানে নামতে হবে। এখানে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান গেটটি রয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ধনবাড়ি নবাব প্যালেস ও মসজিদ
টাঙ্গাইল >>  মধুপুর

টাংগাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ধনবাড়ির নওয়াববাড়ি / জমিদারবাড়ির বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। এটি টাঙ্গাইল জেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্থাপনাসমূহের মধ্যে নওয়াব মঞ্জিল, নওয়াব প্যালেস, নওয়াব শাহ মসজিদ, ফুলের বাগান, অন্দর মহল, দিঘি, মিউজিয়াম ইত্যাদি উল্লেখ্য। বাংলা ভাষার প্রথম প্রস্তাবক নবাব বাহাদুর সৈয়দ আলী চৌধুরীর জমিদারি ছিল এটি। নওয়াব মঞ্জিলটি নওয়াব সাহেবের একটি আবাস কক্ষ ছিল। এই নওয়াব প্যালেসকে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। নওয়াব মঞ্জিলটি ৪ গম্বুজ বিশিষ্ট এক স্থাপত্য রীতির এক অনবদ্য সৃষ্টি। ভবনটিতে ৪টি বড় হল কক্ষ এবং বেশ কয়েকটি ছোট ছোট কক্ষ আছে। ভবনের পূর্ব দিকে একটি বড় তোরণ রয়েছে। তোরণটির নিকটেই চোখে পড়বে একটি তিনতলা ভবন। ভবনটি ইউরোপীয় ও দেশীয় স্থাপত্যের মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যাবে। নবাব প্যালেসের পাশেই আছে নবাব শাহী মসজিদ নামের একটি মসজিদ। মসজিদের পাশেই চিরশায়িত আছেন নবাব বাহাদুর সৈয়দ আলী চৌধুরীসহ নবাব পরিবারের সদস্যরা। প্যালেসটির মিউজিয়ামটিতে দেখতে পাবেন নবাবদের ব্যবহৃত নানা তৈজসপত্র, অস্ত্র, পোশাক ইত্যাদি। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

মহেড়া জমিদার বাড়ী
টাঙ্গাইল >>  মির্জাপুর

বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি ১৯৭২ সাল হতে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সংস্কার করা হলেও অতীতের জৌলুস যেন একটুও কমে যায় নি। দ্বিতল বিশিষ্ট মূল জমিদার বাড়িটির মূল ভবনে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে রোমান নির্মাণ শৈলীর মত ভূমি হতে দ্বিতল ভবনটির ছাদ পর্যন্ত লম্বা লম্বা ৬টি বিশালাকার স্তম্ভ। মূল ভবনের দুপাশ দিয়ে নির্মিত হয়েছে আরও দুটি দ্বিতল ভবন, যা মূল ভবনটির সাথে যুক্ত। মধ্যখানের ভবনটির ছাদে ডিজাইন দেখে মনে হবে যেন ভবনটির চূড়ায় কেউ মুকুট পড়িয়ে দিয়েছে। জমিদার বাড়িটির সামনে বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে ফুলের বাগান। ভবনের আশেপাশের নানা প্রজাতির গাছ-পালা ভবনের সৌন্দর্য যেন বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকগুন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক এই ভবনটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটে। নষ্ট করা হয় গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদি। জানা যায়, কালীচরণ সাহা ও আনন্দ সাহা নামে দুই ভাই ১৮৯০ সালের দিকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। তারা মূলত ব্যবসায়ী ছিলেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকারের সময় তার বংশধারীরা জমিদারী লাভ করে। এই ভবনটির আশেপাশে রয়েছে জমিদারদের কর্তৃক নির্মিত কাছারি বাড়ী, মন্দির, খননকৃত পুকুর, নায়েব ভবন ইত্যাদি। এই জমিদারবাড়িটি শুধু দর্শনীয় একটি স্থানই নয়, অনেকেই পিকনিক করার জন্যও এখানে আসেন। নাটকের শুটিং করার জন্যও এটি একটি অনন্য স্পট। দৃষ্টিনন্দন এই জমিদার বাড়িটি দেখতে হলে মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হবে। ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের পাশে জামুর্কি বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে সামনের দিকে এগুলেই মহেড়া জমিদার বাড়ীটি দেখতে পাবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ী ও জামে মসজিদ
টাঙ্গাইল >>  ঘাটাইল

টাংগাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নে রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন বাড়ী। স্থানীয়দের নিকট এটি ধলাপাড়া চৌধুরী বাড়ী নামে পরিচিত। এই চৌধুরীবাড়িটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। চৌধুরী বাড়ীর পাশেই রয়েছে একটি সৌখিন কাছারি বাড়ী। চৌধুরী বাড়ীর মূল ভবনটির দেয়াল এবং ছাদ কারুকার্য মণ্ডিত। মসজিদটিও কারুকার্য খচিত। চৌধুরী বংশের পরবর্তী প্রজন্ম চৌধুরী বংশের ছমির উদ্দিন চৌধুরী ও জমির উদ্দিন চৌধুরী এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি ধলাপাড়া বাজারের নিকট অবস্থিত। স্থানটি ঘাটাইল উপজেলা হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঘাটাইল উপজেলা সদর হতে সিএনজিতে করে সহজেই এই রাজবাড়িতে পৌঁছে যেতে পারবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

পরীর দালান/হেমনগর জমিদার বাড়ি
টাঙ্গাইল >>  গোপালপুর

গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের শিমলাপাড়া গ্রামে এই পরীর দালানটি অবস্থিত। এই ইমারতটির চূড়ায় ২টি রাজসিক পরীর অলঙ্করণ রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে পরীর দালান বলে অভিহিত করে। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী এই ভবনটি নির্মাণ করেন। হেমচন্দ্রের এই দালানটির আশেপাশের এলাকা জুড়ে বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে, যেগুলো জমিদারের আত্মীয়-স্বজনদের ছিল। দ্বিতল বিশিষ্ট এই জমিদারবাড়িতে একশটি কক্ষ রয়েছে। জমিদার বাড়িটির চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। জমিদারবাড়িটি একসময় বেশ জাঁকজমক এবং কারুকার্যমণ্ডিত ছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ জমিদার বাড়িটির অনেক ঐতিহ্যই হারাতে বসেছে। ১৯৪৬ সালে জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী এই জমিদারি ফেলে কলকাতায় চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে এই জমিদারবাড়িটি হেমনগর খন্দকার আসাদুজ্জামান ডিগ্রী কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে এই জমিদারবাড়ীর কয়েকটি কক্ষ ভংগদশায় রয়েছে। গোপালপুর উপজেলা হতে প্রায় ১১-১২ কিলোমিটার দূরে হেমনগর ইউনিয়নে এই হেমনগর জমিদার বাড়িটি রয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

1  



পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান