বরকল উপজেলা
রাঙ্গামাটি >> বরকল
রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলাটি পর্যটকদের জন্য অন্যতম একটি আকর্ষণীয় স্পট। পাহাড়, নদী, অরণ্য সবকিছু মিলে মনে হবে আপনি এক খুব সুন্দর করে আঁকা একটি স্থানে চলে গিয়েছেন। রাঙ্গামাটি শহর থেকে এই উপজেলায় যাওয়ার একমাত্র যান নৌকা বা ছোট ছোট লঞ্চ। এসকল যান যখন রাঙ্গামাটি থেকে বরকলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে তখন নৌপথটিকে মনে হবে এসকল পথ গুলো তৈরি করা হয়েছে পাথরের বুক চিঁড়ে। এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় ঝর্না, পাহাড়। এই স্থানের পাহাড়ি অরন্যে দেখতে পাবেন পাহাড়ি হাতি, হরিণ, ভালুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী আর ঝাঁকে ঝাঁকে আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির দল। এই উপজেলার সকল পাহাড় লুসাই পাহাড়ের শাখা-প্রশাখা। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ফালিতাঙ্গ্যাচুগ পাহাড়
রাঙ্গামাটি >> বরকল
রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম ফালিতাঙ্গ্যাচুগ। প্রায় ১ হাজার ৮৬৮ ফুট উচু এই পাহাড়টি। এখান থেকে একনজরে উপভোগ করতে পারবেন বরকল উপজেলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের মিজোরাম রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও দেখতে পাবেন এখান থেকে। বরকল উপজেলায় এই পাহারটিই নয় এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ঝর্না। এই উপজেলাটির নামকরণ নিয়ে রয়েছে একটি জনশ্রুতি। স্থানীয়াদের মতে এই জেলায় একটি বড় প্রবাহমান একটি ঝর্না ছিল। ঝর্নাটির পানির শব্দ অনেক দূর থেকে শোনা যেত। এই ঝর্ণার গড়িয়ে পড়া পানির শব্দ শুনলে মনে হতো যেন কোন বড় আকৃতির কলের বা যন্ত্রের শব্দ হচ্ছে। একারনেই এই স্থানটির নাম হয়েছে বরকল। তবে এই ঝর্নাটি এখন আর নেই। এই বরকল উপজেলায় আসতে হলে অবশ্যই নৌকা ভাড়া করে আসতে হবে এবং রাত্রে থাকার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
সুভলং ঝর্না, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের সমাধিস্তম্ভ, টুকটুক, পেদা টিংটিং, সাফাং রেস্টুরেন্ট, আদিবাসী গ্রাম
রাঙ্গামাটি >> বরকল
সুভলং ঝর্ণা, ইকো টুকটুক ভিলেজ, পেদা টিংটিং দেখতে হলে আপনাকে নৌযান ভাড়া করে যেতে হবে সুভলং নামের একটি স্থানে। বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফের সমাধিস্তম্ভ দেখতে পাবেন নানিয়াচরের বুড়িঘাট এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুন্সী আবদুর রউফ এখানে শহীদ হলে, তাকে স্থানীয় এক আদিবাসী এই স্থানটিতে কবর দেন। পরবর্তীতে এখানে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) মুন্সী আবদুর রউফের কবরের উপর একটি সমাধিস্তম্ভ নির্মাণ করে। নৌকায় করে ভ্রমনের সময় আশেপাশের পাহাড় আর তার বুক চিঁড়ে বয়ে যাওয়া নদী আপনাকে বিমোহিত করবে। স্মৃতির দৃশ্যপটে গেঁথে যাবে এই মুহূর্তটি। এই দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে আপনি সুভলং পৌঁছে যাবেন, তা বুঝতে পারবেন না। পাহাড় আর কাপ্তাই হ্রদের জলরাশির উপর বয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ দেখতে পাবেন একটি ছোট্ট সবুজ দ্বীপ। এই দ্বীপে দেখতে পাবেন পেদা টিংটিং রেস্টুরেন্ট। পেদা টিংটিং শব্দটি চাকমা ভাষা থেকে নেয়া হয়েছে, এর অর্থ 'পেট ভরে খাওয়া'। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরবর্তী সময়ে রাঙ্গামাটি শহর থেকে দূরে বালুখালীতে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি এই পর্যটন স্পট পেদা টিংটিং। এই পর্যটন স্পটটিতে রয়েছে সারি সারি সেগুন গাছ। চাইলে এখানে রাত্রি যাপন করতে পাবেন। দেখতে পাবেন এখানকার আদিবাসীদের জীবন বৈচিত্র্য। পেদা টিংটিং পর্যটন স্পটের কাছেই রয়েছে পিকনিক স্পট সাংফাং এবং ইকো টুকটুক ভিলেজ। এখানের খাবারের দোকানগুলোতে আপনি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ পাবেন। শুধু পর্যটন স্পটই নয় ঘুরে দেখতে পাবেন এখানকার আদিবাসী গ্রাম। জুমচাষ এবং আদিবাসীদের সরল জীবনযাপন। এরপর এখান থেকে চলে যেতে পারেন সুভলং এর দিকে। বিশাল উঁচু পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি ঝর্নাধারা। ছোট-বড় প্রায় ৬ থেকে ৮টি ঝর্নাধারা এখানে দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বড় ঝর্নাটি পর্যটকদের নিকট খুবই জনপ্রিয়। চাইলে গা ভিজিয়ে নিতে পারবেন এখানে। তবে এই ঝর্ণার দৃশ্য খুব ভাল করে উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে বর্ষার মৌসুমে এখানে বেড়াতে আসতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
শুকনাছড়া
রাঙ্গামাটি >> বাঘাইছড়ি
রাঙ্গামাটি জেলার বাগাইছড়ি নামক উপজেলার ১০ নং রাস্তার পাশে রয়েছে মনোরম এই স্পটটি এটি মূলত রাঙ্গামাটি জেলার অধীনে হলেও খাগড়াছড়ি জেলা হতে এই ছড়াটি দেখতে যাওয়া অনেক সুবিধাজনক। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা হতে হাজাছড়া নামক স্থানে যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন এই স্পটটি। স্থানীয়দের নিকট এই ছড়াটি হাজাছড়া নামেই বেশি পরিচিত। আবার অনেকেই এই ঝর্নাটিকে চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্না নামে চিনেন। ঝর্ণাটি দেখতে চাইলে পাহাড়ের উঁচুনিচু আর পাহাড়ি অরণ্যের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ফুরামোন পাহাড়
রাঙ্গামাটি >> রাঙ্গামাটি সদর
রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে কিছু পথ দূরেই রয়েছে ফুরামোন পাহাড়টি। এডভ্যাঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্থান এই পাহাড়টি। এখানে আসতে হলে পাহাড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল। যাদের পাহাড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা নেই, তাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জনের স্থান এই পাহাড়টি। এই পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় ১৫১৮ ফুটের কাছাকাছি। এই স্থানটিতে ভ্রমনের জন্য স্থানীয় গাইডকে সঙ্গী করে নিলে বেশি উপভোগ করতে পাবেন। রাঙ্গামাটি সদরের কাছাকাছি এই পাহাড়টির অবস্থান বলে এই পাহাড়ের চূড়া থেকে উপভোগ করতে পারবেন রাঙ্গামাটি শহরটিকে। এই পাহাড়ে রাজবন বিহারের একটি শাখা মন্দির রয়েছে, যা ফুরামোন শাখা নামে পরিচিত। এই মন্দিরটি একটি বৌদ্ধ মন্দির। এই পাহাড়টি ভ্রমন করতে হলে আপনাকে রাঙ্গামাটি শহরের মানিকছড়ির সাপছড়িতে যেতে হবে, এই সাপছড়ি থেকে হেঁটে যেতে পারবেন এই পাহাড়ে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
রাজবাড়ি, রাজবন বৌদ্ধ বিহার, ঝুলন্ত ব্রিজ
রাঙ্গামাটি >> রাঙ্গামাটি সদর
রাজবাড়ি, রাজবন বৌদ্ধ বিহার, জাদুঘর, ঝুলন্ত ব্রিজ রাঙ্গামাটি শহরেই দেখতে পাবেন। চাকমা রাজার বাড়িতে চাকমা রাজবংশের বেশ কিছু নিদর্শন রয়েছে। রাজবাড়ির রাজদরবার এবং এখানের একটি পুরনো কামান পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। রাঙ্গামাটি শহরের আর একটি পর্যটন স্পট রাজবন বিহার। এটি একটি বৌদ্ধ বিহার। বৌদ্ধ ধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন দেখতে পাবেন এখানে। পার্বত্য বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু এ বিহারটিতে থাকেন। রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে এই ঝুলন্ত ব্রিজটি দেখতে পাবেন। ঝুলন্ত ব্রিজটি দুটি পাহাড়কে সংযোগ করেছে। কাপ্তাই হ্রদের উপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট ও জাদুঘর
রাঙ্গামাটি >> রাঙ্গামাটি সদর
রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ভেদভেদি নামের একটি স্থানে এই উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটটি দেখতে পাবেন। এখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি জাদুঘর। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সাংস্কৃতি, জীবন বৈচিত্র্য ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে এই জাদুঘরটিতে। ছাড়াও উপজাতিদের ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী পোশাক, নথিপত্র, তন্ত্রমন্ত্রের বই, অলংকার, বিভিন্ন হস্তশিল্প, মুদ্রা, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি এই জাদুঘরটিতে দেখতে পাবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদ
রাঙ্গামাটি >> কাপ্তাই
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ এই কাপ্তাই হ্রদ। রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাপ্তাই উপজেলায় এই কাপ্তাই হ্রদটি রয়েছে। ১৯৬১ সালে এ হ্রদটি সৃষ্টি করা হয়। এই হ্রদটির আয়তন প্রায় ৬৮,৩০০ হেক্টর এবং এর গড় গভীরতা প্রায় ৯ মিটার। কাপ্তাই উপজেলাটি উঁচু-নিচু পাহাড় বেষ্টিত চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার। এই উপজেলার বুক চিঁড়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা লুসাই কন্যা কর্ণফুলী নদী। এখানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর পিকনিক স্পট। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে আরও বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। কাপ্তাইয়ের ওয়াগগা চা বাগান হতে পারে আপনার আরও একটি স্পট। তবে এখানে প্রবেশ করতে কর্তৃপক্ষের আনুমতি নিয়ে নিতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন