বিবি মরিয়মের মসজিদ ও সমাধি সৌধ
নারায়নগঞ্জ >> নারায়নগঞ্জ সদর
বিবি মরিয়মের মসজিদ ও সমাধি সৌধটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় হাজিগঞ্জ নামক একটি স্থানে রয়েছে। মসজিদটি আয়তাকারে নির্মিত এবং ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট। এই তিনটি গম্বুজের মধ্যে মাধ্যস্থানের গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বড়। ধর্মীয় এই ইমারতটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০ ফুট এবং প্রস্থে প্রায় ৪৫ ফুট। মসজিদের অভ্যন্তরে মিহরাবের সংখ্যা ৩টি। মিহরাবগুলোর নির্মাণ কৌশলও ব্যতিক্রম। মিহরাবগুলো চারকোনাকারে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটিতে প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ১ টি করে প্রবেশ দ্বার কয়েছে। মসজিদটির ৪ কোণে দেখতে পাবেন ৪টি মিনার। মসজিদটি পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে।
মসজিদটির পূর্বদিকে একটি সমাধি সৌধ দেখতে পাবেন। এটি বিবি মরিয়মের সমাধি সৌধ। বিবি মরিয়ম বাঙলার সুবাদার নবাব শায়েস্তা খানের আদরের কন্য ছিলেন। শায়েস্তা খান তার কন্যার নামানুসারে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা বিবি মরিয়ম মসজিদ নামে পরিচিত। বিবি মরিয়মের সমাধি সৌধটি একটি উঁচু প্লাটফর্মের উপর নির্মিত। এটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি ইমারত। সমাধি সৌধটি কালো পাথরের ভিত্তিভূমির উপর নির্মিত। বিবি মরিয়মের শবাধারটি সাদা মার্বেল পাথরের নির্মিত। সমাধি কক্ষে প্রবেশের জন্য পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিন দিকে প্রবেশপথ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিবি মরিয়মকে 'তুরান-দুখত্' বলা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
হাজিগঞ্জ ৪ গম্বুজ মসজিদ
নারায়নগঞ্জ >> নারায়নগঞ্জ সদর
নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হাজিগঞ্জ এলাকায় ৪ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ দেখতে পাওয়া যাবে। তবে, মসজিদটির মূল কক্ষের উপর গম্বুজের সংখ্যা মাত্র ১টি। অপর ৩টি গম্বুজ রয়েছে মসজিদটির বারান্দার উপর। বারান্দার উপর নির্মিত গম্বুজগুলোর আকৃতি অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের। এই ৩টি গম্বুজ আদিতে ছিল না, পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয়েছে। ১৪৯৩ সাল হতে ১৫৩৮ সাল সময়ে মধ্যে সুলতান আলা-উদ-দীন হোসেন শাহ্ ও তার বংশধরদের রাজত্বকালে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ঐতিহ্য নারায়ণগঞ্জ
নারায়নগঞ্জ >> নারায়নগঞ্জ সদর
ঐতিহ্য নারায়ণগঞ্জ একটি ভাস্কর্যের নাম। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে এই ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্যটিতে নারায়ণগঞ্জের আদি ঐতিহ্য, সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বেদিসহ ভাস্কর্যটি ৬৫ বর্গফুট জায়গার জুড়ে নির্মিত। ভাস্কর্যটির ভাস্কর মোবারক হোসেন খান। ২০১৬ সালের ২৩ জুন এই ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
হাজিগঞ্জ দুর্গ
নারায়নগঞ্জ >> নারায়নগঞ্জ সদর
নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত এই হাজিগঞ্জ দুর্গটি ৫ কোনাকারে নির্মিত। দুর্গটি দৈর্ঘ্যে ২৫০ ফুট এবং প্রস্থে প্রায় ২০০ ফুট। দুর্গের কোণগুলো অর্ধবৃত্তাকারে নির্মিত। এই কোণগুলোতে কামান রাখার জন্য বুরুজ নির্মাণ করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জের এই হাজিগঞ্জ এলাকা মোঘল আমলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান ছিল। মোঘল আমলে এখানে মাঝে মধ্যে মগ, আরকানী ও ফিরিঙ্গিদের আক্রমনের শিকার হতো নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা। এসব দস্যুদের আক্রমনের হাত থেকে এখানকার অধিবাসী তথা রাজ্যকে রক্ষার জন্য মোঘলেরা বেশ কয়েকটি দুর্গ নির্মাণ করেছিল। এসকল দুর্গের মধ্যে হাজিগঞ্জ দুর্গ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য দুর্গ ছিল। এই হাজিগঞ্জ দুর্গটি একটি জলদুর্গ ছিল। এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
বন্দর শাহী মসজিদ/ বাবা সালেহ মসজিদ
নারায়নগঞ্জ >> বন্দর
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় বাবা সালেহ মসজিদটি দেখতে পাবেন। স্থানীয়ভাবে এটি বন্দর শাহী মসজিদ নামে পরিচিত। কদম রসূল দরগাহ এর প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে এই মসজিদটি রয়েছে। এটি একটি ১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। মসজিদটির অভ্যন্তরে পশ্চিম দেয়ালে ৩টি মিহরাব দেখতে পাবেন। প্রবেশের জন্য পূর্ব দেয়ালে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে ১টি করে প্রবেশদ্বার রয়েছে। মসজিদের চার কোণে ৪টি স্তম্ভ দেখতে পাওয়া যাবে। ১৪৮১ সালে বাঙলার সুলতান জালাল-উদ-দীন ফতেহ শাহের আমলে বাবা সালেহ নামক এক ব্যক্তি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে মসজিদটি সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
কদম রসূল দরগাহ
নারায়নগঞ্জ >> বন্দর
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষে এই কদম রসূল দরগাহটি রয়েছে। এই স্থানটি পূর্বে রসুলপুর নামে পরিচিত ছিল। আনুমানিক ১৭৭৮ মতান্তরে ১৫৮০ সালে এই দরগাহটি নির্মিত হয় বলে অনুমান করা হয়। এই দরগাহ ইমারতটি দ্বিতল এবং এক গম্বুজ বিশিষ্ট। এখানে দুই খণ্ড পাথরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পায়ের ছাপ আছে বলে বলা হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, সপ্তম শতাব্দীতে মাসুম খান কাবুলী নামে একজন আফগান সেনাপ্রধান এই নিদর্শনটি একজন আরব সওদাগর এর নিকট থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
সোনারগাঁও উপজেলা
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার পূর্বে ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই সোনারগাঁও অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক এলাকাটি একসময় রাজধানী ছিল। ভৌগলিক দিক থেকে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও এই এলাকাটি বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল বলে এটি একসময়ের বিখ্যাত ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। এই সোনারগাঁও ছিল একসময়ের বিশ্ব খ্যাত সবচেয়ে নিখুঁত ও মসৃণ কাপড় উৎপাদন কেন্দ্র। এই মসলিন এতই হালকা এবং মসৃন ছিল যে, একশত গজ মসলিনের কাপড় মাথার চারদিকে পেঁচিয়ে রাখলেও চুলের রেশ দেখা যেত। এক পাউন্ড সুতা ১৬০ মাইল পর্যন্ত বিস্তার করা যেত। বর্তমানে এই মসলিন কাপড়ের একটি কাপড় প্রদর্শনীর জন্য রাজধানী ঢাকার শাহাবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এদেশে ব্রিটিশ যখন নীল চাষ শুরু করে তখন মসলিনের কাপড় তৈরি করা জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। সোনারগাঁও নীল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রও ছিল। ১৩৪৬ সালে বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক মরক্কোর অধিবাসী ইবনে বতুতা প্রথমে এখানে এসেছিলেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
মোয়াযযেমাবাদ মসজিদ / মহজমপুর শাহী মসজিদ / আহমদ শাহের মসজিদ ও মাজার
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মজমপুরে মোয়াযযেমাবাদ নামের এই প্রাচীন মসজিদটি দেখতে পাবেন। স্থানীয়ভাবে, এই মসজিদটি মহজমপুর শাহী মসজিদ নামেও পরিচিত। এটি একটি ছয় গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। শিলালিপি অনুসারে, মসজিদটি সুলতান শামস্ আল-দীন আহমদ শাহ্র আমলে (১৪৩২-৩৬ সাল) ফিরোজ খান নামের এক ব্যাক্তি এটি নির্মাণ করেন। তাই এটি আহমদ শাহের মসজিদ নামেও অনেকে চিনেন। মজমপুরের পূর্ব নাম ছিল মোয়াযযেমাবাদ। মোয়াযযেমাবাদ সুলতানি আমলের একটি বিখ্যাত স্থান। এখানে সুলতানের টাকশাল ও প্রশাসন কেন্দ্র ছিল। মসজিদটি বাংলাদেশে টিকে থাকা প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন বলে মনে করা হয়। মসজিদটির পূর্বের অনেক কিছুই এখন আর নেই। মসজিদের কাছেই দেখতে পাবেন একটি মাজার শরীফ। শাহ লঙ্গর নামের এক দরবেশের মাজার এটি। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ইউসুফগঞ্জ মসজিদ
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের নিকট মোগড়াপাড়া বাজারের রাস্তায় ইউসুফগঞ্জে এই মসজিদটি দেখতে পাবেন। এটি বর্গাকারে নির্মিত একটি ধর্মীয় ইমারত, যার প্রতি দিকের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮.৪ মিটার। মসজিদটিতে প্রবেশের জন্য পূর্ব দেয়ালে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে ১টি করে প্রবেশপথ রয়েছে। পশ্চিম দেয়ালে দেখতে পাবেন ৩টি মিহরাব। মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট। সুলতান রুকন-উদ-দীন বারবক শাহ্র পুত্র সুলতান শামস উদ দীন ইউসুফ শাহ্ পঞ্চদশ শতকের শেষ সময়ের দিকে (১৪৭৬-৮১ সাল) এটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি সংস্কার করার ফলে এটি আধুনিক মসজিদ বলে মনে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
দমদমা মসজিদ
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়া বাজার এবং খানকা শরীফের সন্নিকটে দমদমা নামক এই প্রাচীন মসজিদটি দেখতে পাওয়া যাবে। ১৪৮৪ সালে সুলতান জালাল উদ দীন ফতেহ শাহ্র আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। এটি বর্গাকারে নির্মিত এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি ধর্মীয় ইমারত। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে এই ইমারতটি আবার পুনঃনির্মিত হয়। মসজিদের সামনে একখণ্ড কালো পাথর রয়েছে, যেটিতে একটি মূর্তির চিহ্ন রয়েছে। একারনে অনেকেই মনে করেন, হিন্দু-বৌদ্ধ যুগে এখানে কোন মন্দির ছিল। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের মাজার
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া গ্রামে রয়েছে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের মাজার। তিনি ইলিয়াস শাহী বংশের একজন বিখ্যাত সুলতান ছিলেন। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ১৩৮৯ সালে গৌড়ের সুলতান ছিলেন। এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। তার এই সমাধিটি কালো পাথরের তৈরি। মাজারটির আদিরূপ এখন আর নেই। আদিতে এটি একটি সুন্দর একটি সমাধি সৌধ ছিল। অনুমান করা হয়, ১৪১০-১১ সালে এই সমাধি সৌধটি নির্মাণ করা হয়। অনেকেই এই সমাধি সৌধটিকে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের না বলে কালা পীর নামের এক পীরের মাজার বলে মনে করেন। তারা, এই সৌধটির পূর্ব পাশে ইটের তৈরি আপর একটি সমাধিকে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি বলে মনে করেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
গোয়ালদী মসজিদ
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালদি নামের একটি গ্রামে গোয়ালদি মসজিদ নামের একটি প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। সোনারগাঁও এর লোকশিল্প জাদুঘর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে এই মসজিদটির অবস্থান। এটি বর্গাকারে নির্মিত এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬ ফুট। ধর্মীয় এই ইমারতির পূর্ব দেয়ালে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে ১টি করে প্রবেশপথ রয়েছে। পশ্চিম দেয়ালে আছে ৩টি মিহরাব। ইমারতির দেয়ালের প্রশস্ততা ৫ফুট। মসজিদটির ৪ কোণে ৪টি গোলাকার বুরুজ রয়েছে। মসজিদটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্বকালের শেষ সময়ে ১৫১৯ সালে হিজাবর-উদ-দীন নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদটি এককালে সবচেয়ে বেশি টেরাকোটার অলঙ্করণে অলঙ্কৃত ছিল। তবে পরবর্তীতে সংস্কার করা হলেও এখনও কিছু পোড়ামাটির অলঙ্করণ দেখতে পাওয়া যাবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
আবদুল হামিদ মসজিদ
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালদি নামের গ্রামে গোয়ালদি মসজিদের উত্তরে কিছু দুরেই রয়েছে এই আবদুল হামিদ মসজিদটি। মসজিদের এক শিলালিপি অনুযায়ী, সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে শাহ্ আবদুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি ১৭০৫ সালে এটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা হলেও এর আদি বৈশিষ্ট্যের কিছু ছাপ এখনও বিদ্যমান। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
পানাম নগর
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
মোঘল আমলের স্থাপত্যকৌশলে গড়ে ওঠা পানাম নগরটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহাসিক ও জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। সাধারনভাবে এই নগরটি হাবেলী সোনারগাঁও নামে জনসাধারণের নিকট পরিচিত।অনেকের নিকট এটি 'হারানো নগরী' নামেও পরিচিত। এক সময় এই নগরটি ছিল সমৃদ্ধশালী ও বিখ্যাত জনবহুল একটি নগর ছিল। এই পানাম নগরের রাস্তার দৈর্ঘ্য ১ মাইলেরও বেশি। পানাম নগরের রাস্তার দুপাশে বেশ কিছু বড় বড় ইমারত দেখতে পাবেন। এসকল ইমারত ইট দ্বারা নির্মিত। প্রায় ৫২টির মত ইমারত দেখতে পাবেন এই নগরীটিতে। এর মধ্যে রাস্তার উত্তর পাশে ৩১ টি এবং দক্ষিণ পাশে ২১টি ইমারত রয়েছে। এ সকল ইমারত মুলত মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজার, আবাসিক এলাকার বাড়ি ছিল। এছাড়াও মন্দির, মঠ, সরাইখানা, কূপ, নাচঘর, ঠাকুরঘর, টাকশাল, দরবার কক্ষ, গুপ্তপথ ইত্যাদিও দেখতে পাবেন। ইমারতগুলোর বেশির ভাগই দ্বিতল বিশিষ্ট। নগরীটি একটি লেক/খাল দ্বারা চারদিকে পরিবেষ্টিত ছিল। নগরীতে একটি প্রবেশদ্বারও ছিল। সবকিছু মিলে এটি একটি সুরক্ষিত নগরী ছিল।
এখানে শুধু মোঘল আমলের নিদর্শনই নয়, ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা একটি আধুনিক ইমারত নির্মাণ করেছিল, যা 'কোম্পানী-কা-কুঠি' নামে পরিচিত। ইংরেজরা তাদের 'ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী' এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম এই নগরী থেকে পরিচালনা করত। বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের প্রচার এবং প্রসার এই পানামা নগরী থেকেই। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
সরদার বাড়ি
নারায়নগঞ্জ >> সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার ইছাপাড়ায় সরদার বাড়িটি দেখতে পাবেন। এই বাড়িটি বর্তমানে এই বাড়িটি এবং আশেপাশের বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর। যা সোনারগাঁও জাদুঘর নামে অধিক পরিচিত। সরদার বাড়িটির দেয়াল বিশেষ করে ভবনটির দরজা সংলগ্ন দেয়ালটির কারুকার্য খুবই দৃষ্টিনন্দন। বাড়ির পাশে রয়েছে একটি বিশালাকার পুকুর। ১৯০১ সালে এই সরদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন