কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের প্রাগৈতিহাসিক একটি স্থানের নাম রোয়াইল বাড়ি দুর্গ। বহু বছর মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা এই স্থানের প্রত্ন সম্পদ ১৯৯১ সালে খননের ফলে উন্মুক্ত হয়ে আসে। এটি ইটের দ্বারা নির্মিত একটি দুর্গ ছিল। এর অভ্যন্তরে আবিস্কৃত হয়েছে ভবন, মসজিদ, কবরস্থান, রয়েছে পুকুর। মাটি খননের ফলে প্রাচীন ব্যবহার্য বিভিন্ন প্রত্নসম্পদও পাওয়া গেছে। প্রায় ৪৬ একর ভূমি জুড়ে রয়েছে এই দুর্গ প্রাসাদটি। দুর্গের অভ্যন্তরের প্রত্নসম্পদসমূহ সুলতানি আমলের বলে ধারনা করা হয়। দুর্গটি একসময় বারো ভুইয়ারদের শ্রেষ্ঠ ভূঁইয়া ঈশা খাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। রোয়াইল বাড়ি দুর্গের অভ্যন্তরের দালানের দেয়ালগুলো পোড়ামাটির বিভিন্ন নকশায় অলংকৃত ছিল। যা আজও দেখতে পাওয়া যায়। দুর্গ খননের ফলে যে মসজিদটি উম্মোচিত হয়েছে, এটি ছিল ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। পশ্চিম দেয়ালে ছিল ৫টি মিহরাব। মসজিদটির দেয়ালগুলো ছিল প্রায় ৭ ফুট প্রশস্ত।
ঐতিহাসিক এই স্থানটি দেখতে হলে নেত্রকোনা থেকে বাস বা সিএনজিতে করে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইল বাড়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত যেতে পারবেন। প্রত্নস্থলটি রোয়াইল বাড়ী বাজারের নিকটে অবস্থিত।
Last Updated Date of This Artical : 0000-00-00