বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া নামক স্থানে অবস্থিত এই মসজিদটি। এর দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য এবং মনোরম পরিবেশ সহজেই আকৃষ্ট করবে। মসজিদটির স্থাপত্যই শুধুমাত্র এর বিশেষত্য নয়, এই মসজিদটির প্রবেশ পথে রয়েছে একটি স্তম্ভ; যেটির নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে মক্কা, মদিনা, জেদ্দা, বাগদাদ ও আজমীর শরিফের ২১ টি পবিত্র স্থানের মাটি ও জমজম এর পানি। ২১টি পবিত্র স্থানের মধ্যে মক্কা থেকে কাবা শরিফের মাটি, আরাফাহ এর ময়দানের মাটি, মুযদালিফাহ এর মাটি, ময়দানে মিনা এর মাটি, কোরআন শরীফের প্রথম আয়াত যে পাহাড়টিতে নাজিল হয় সেই জাবালে নূর (পাহাড়) এর মাটি, নবীজি ও হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) যে পাহাড়ের গুহায় লুকিয়েছিলেন সেই স্থানের মাটি, নবীজি বিদায়ী হজ্জের ভাষণ যে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই জাবালে রহমত এর মাটি এবং নবীজির জন্মস্থানের মাটি রয়েছে। মদিনার যে সকল স্থানের মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে সে স্থানগুলো হলো- হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর নির্মিত প্রথম মসজিদ-এ-কুবা, ওহুদের যুদ্ধের ময়দান, হযরত হামজা (রাঃ) এর মাজার, মসজিদে আল-কিবলাতাইন, মসজিদে হযরত আবু বক্কর (রাঃ), মসজিদে হযরত আলী (রাঃ), জান্নাতুল বাকী, মসজিদে নব্বি এবং জুলহুলাইফা-মিকাত এর মাটি। জেদ্দার ‘মা হাওয়া’ এর কবরস্থান এবং আরব সাগরের পাড়ে অবস্থিত মসজিদে রহমত এর মাটি। আজমীর শরীফের হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহঃ) এর মাজারের মাটি এবং বাগদাদ শরীফ হতে সংগ্রহকৃত বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর হাতের লেখা তাবিজ ও মাজারে পাওয়া দুটি পয়সা রয়েছে স্তম্ভটিতে। প্রায় ১৪ একর জমির উপর এই মসজিদটির নির্মাতা এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। মসজিদটির নির্মাণ কাজে প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেছে। ঘুরতে আসা পর্যটকরা সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সন্ধ্যার পর দেখতে পারবেন মসজিদটির অন্য এক রূপ। বিভিন্ন রঙের আলক বাতির আলোতে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করবে। আর তখনই যেন ফুটে উঠে মসজিদটির আসল সৌন্দর্য।
বরিশাল বাস টার্মিনাম হতে বানারিপাড়াগামী বাসে কিংবা স্থানীয় যানবাহন, সিএনজিতে করেও এই বৃহৎ এবং সুদৃশ্য মসজিদটি দেখতে আসতে পারবেন।
Last Updated Date of This Artical : 0000-00-00