পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান


নিঝুম দ্বীপ
নোয়াখালী >>  হাতিয়া

নোয়াখালী জেলা শহর থেকে লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত নৌকা কিংবা স্পীড বোটে করে যাওয়া যায় এই দ্বীপটিতে। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় এই দ্বীপটি রয়েছে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এর সৌন্দর্যই এই দ্বীপটির মূল আকর্ষণ। ২০০১ সালে এই দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দ্বীপে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সমুদ্র সৈকত আছে। রয়েছে বিশাল চিরহরিৎ বন। এ বনে গেওয়া, কেওড়া, বাইনসহ বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদের সমারহ দেখতে পাবেন। এছাড়াও শত শত হরিণের বিচরন, বানর, বন মোরগ, কাঠ বিড়ালী, অতিথি পাখিদের আনাগোনা, সরীসৃপ প্রাণীও রয়েছে এই দ্বীপে। যদি নিরিবিলি পরিবেশ চান, যান্ত্রিক জীবন থেকে ক্ষণিক সময়ের জন্য দূরে থাকতে চান তবে ঘুরে আসতে পারেন এই দ্বীপটিতে। দ্বীপটি হরিণের জন্য অভয়ারণ্য। দ্বীপের কেওড়া বনে দেখতে পাবেন অসংখ্য হরিণের মুক্ত বিচরণ আর ছুটোছুটি। এই বনটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

সোনার চর
পটুয়াখালী >>  রাঙ্গাবালী

সুন্দরবনের বিকল্প আরও একটি বন এই সোনার চর। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় অবস্থিত দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্পট কুয়াকাটায় এই চরটি রয়েছে। পর্যটকেরা যদি কুয়াকাটায় এসে হরিনের দেখা পেতে চান, তবে যেতে পারেন এই চরটিতে। চারদিকের সবুজের সমারোহের এই বনটি আপনাকে মুগ্ধ করবে। শুধু হরিণ নয়, বিভিন্ন বন্য প্রাণীরও দেখা মিলবে এখানে। এই সোনার চরের পাশ ঘেঁষে রয়েছে একটি সমুদ্র সৈকত। সোনার চরের বনভূমি এখানকার বন্যপ্রাণীদের জন্য এক অভয়ারণ্য। এই চরের সৈকত থেকেও সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখতে পাওয়া যাবে।
পটুয়াখালী জেলা হতে রাঙ্গাবালী উপজেলায় এসে সেখান থেকে ট্রলারে করে জলপথে চরমন্তাজ ইউনিয়নের এই স্থানটিতে আসতে পারবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ক্র্যাব ল্যান্ড / কাঁকড়ার চর
পটুয়াখালী >>  কলাপাড়া

সাগরের বুকে জেগে উঠা এই চরটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের নিকট এই স্থানটি রয়েছে। ছোট্ট এই দ্বীপের চারদিকে সমুদ্র। দ্বীপের চিকচিক বালির মধ্যে দেখতে পাবেন অসংখ্য লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটি। ছুটে ধরতে গেলে দেখবেন কাঁকড়াগুলো হুট করে নিজের আবাসস্থল মাটির গর্তে ঢুকে পড়েছে। এই স্থানটিতে আসতে হলে আপনাকে অবশ্যই নৌকা ভাড়া করে আসতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

মনপুরা দ্বীপ
ভোলা >>  মনপুরা

ভোলা জেলার একটি মনোরম প্রাকৃতিক দ্বীপ এই মনপুরা দ্বীপটি। দ্বীপটির চারপাশ জলরাশি দিয়ে ঘেরা। তাই এখানে আসতে হলে লঞ্চ বা বড় আকারের নৌকা, যে কোন একটিকে বেছে নিতে হবে। দ্বীপটিতে রয়েছে একটি ছোট ম্যানগ্রোভ বন। বনে হরিনের মুক্ত বিচরণ আপনাকে মুগ্ধ করবে। শীত মৌসুমে দ্বীপটিতে প্রচুর অতিথি পাখির বিচরন ঘটে। এক ঝাঁক অতিথি পাখির সমাবেশে মনে হবে এটি যেন এক পাখির রাজ্য। ঐতিহাসিক দিক থেকে, এই দ্বীপটি এক সময় পর্তুগীজ বণিকদের আস্তানা ছিল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই মনপুরা দ্বিপটি শুধুমাত্র দেশের পর্যটকদের নিকটই জনপ্রিয় নয়, জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিদেশি পর্যটকদের নিকটও।
ভোলা থেকে নৌপথে এখানে আসা যাবে। ঢাকা থেকে সরাসরি লঞ্চযোগেও এখানে ঘুরতে আসতে পারবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

চর কুকরী-মুকরী
ভোলা >>  চরফ্যাশান

একপাশে সাগরের কলতান, অপর পাশে সবুজ বন আর পাথির কলকাকলি - এরূপ মনঃমুগ্ধকর অপরূপ একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে চর কুকরী-মুকরীর অবস্থান ভোলা জেলা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরেই। এই চরটি বন্য প্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্য। এই অভয়ারণ্যে দেখতে পাওয়া যাবে হরিন দলের মুক্ত বিচরন। এখানে কৃত্রিমভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সারি সারি নারিকেল বাগান। যা পর্যটকদের মুগ্ধ করবে। রয়েছে বিস্তৃর্ন বালুকা ভূমি। দিনে দিনে চর কুকরী-মুকরী পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্পটে পরিনত হচ্ছে। যারা নৌ ভ্রমনে আগ্রহী তাদের জন্য এই স্থানটি হতে পারে অন্য একটি পছন্দনীয় স্পট।
ভোলা জেলা হতে চরফ্যাশনে এসে এখান থেকে নৌকা কিংবা ট্রলারে করে জলপথে এখানে আসতে হবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

সোনাদিয়া দ্বীপ/ প্যারা দ্বীপ
কক্সবাজার >>  মহেশখালী

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নে এই সোনাদিয়া দ্বিপটি রয়েছে। কক্সবাজার শহর থেকে নৌপথে ৭ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই দ্বিপটি। ইঞ্জিনচালিত নৌকাই একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা এই দ্বীপে যাওয়ার জন্য। কিছু জেলে পরিবার ব্যতিত এই দ্বীপটিতে কেউই নিয়মিত বসবাস করে না। সাগরের বিশাল বুক চিঁড়ে জেগে উঠা এই দ্বীপে প্রচুর বুনোহাঁস ও পানিহাঁসের দেখা মিলবে। শীত মৌসুমে আগমন ঘটে প্রচুর অতিথি পাখির। ঝিনুক, মুক্তা আর শামুকের প্রাচুর্যতা দেখতে পাবেন এই দ্বীপে। দেখা মিলবে অসংখ্য লাল কাঁকড়ার। সোনাদিয়া দ্বীপটি প্যারাদ্বীপ নামেও পরিচিত। এই দ্বীপের ঝাউবনটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাউবন। ৩ দিকে সমুদ্র সৈকতে ঘিরে রাখা এই দ্বিপটির আয়তন মাত্র ৯ বর্গকিলোমিটার। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

মহেশখালী দ্বীপ
কক্সবাজার >>  মহেশখালী

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ হিসেবে পরিচিত এই মহেশখালী দ্বীপটি। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটির অবস্থান। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে হবে এই দ্বীপটিতে। সময় লাগবে মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টা। পাহাড়-সমুদ্র এই দুইয়ের এক অপূর্ব মিলন ঘটেছে এই দ্বীপে। দ্বীপটির চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। দ্বীপটির পাহাড়ি বনের কলতান, সমুদ্রের গর্জন ভ্রমণকারীদের চোখ এবং মনে যেন এক প্রশান্তি এনে দেয়। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম তীর্থস্থান আদিনাথ মন্দির। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

শাহ পরীর দ্বীপ
কক্সবাজার >>  টেকনাফ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরং ইউনিয়নে রয়েছে এই শাহ পরীর দ্বীপটি। দ্বীপটির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নাফ নদী। এই নদী বাংলাদেশ ও মায়ানমার এই দুটি দেশকে বিভক্ত করেছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

জালিয়ার দ্বীপ
কক্সবাজার >>  টেকনাফ

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-মায়ানমার সিমান্তে নাফ নদীর মধ্যখানের একটি ছোট্ট দ্বীপ এই জালিয়ার দ্বীপ। এটি পর্যটন প্রেমীদের জন্য অন্যতম একটি বিনোদনের স্পট। এখানে পাহাড়-নদী-দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে নাফ ট্যুরিজম পার্ক। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ছেঁড়া দ্বীপ
কক্সবাজার >>  টেকনাফ

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরের বুকে জেগে ওঠা একটি ছোট দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপটি। এই দ্বীপটি মূলত সেন্টমার্টিন দ্বীপের একটি অংশ। জোয়ারের সময় দ্বীপটি সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে এটিকে ছেঁড়া দ্বীপ বলা হয়। জোয়ারের সময় সেন্টমার্টিন থেকে এখানে আসতে হলে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আসতে হবে। কিন্তু ভাটা চলাকালীন সময়ে সেন্টমার্টিন থেকে হেঁটেই এখানে আসা যায়। তবে, জোয়ার-ভাটার সময় না জানা থাকলে সেন্টমার্টিন থেকে এখানে হেঁটে না আসাই ভাল। আকস্মিক জোয়ারের সময়ের মধ্যে পড়লে সমুদ্রের পানিতে ভেসে যেতে পাবেন। খুব ছোট্ট এই দ্বীপটির আয়তন ৩ কিলোমিটারের চেয়েও কম। তবে জোয়ার-ভাটার সাথে এর আয়তনের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। রাতে এই দ্বীপে থাকার কোন অনুমতি নেই। তাই আপনাকে এই দ্বীপে ঘুরতে আসতে চাইলে এমনভাবে আসতে হবে, যেন সূর্য অস্ত যাওয়ার পরপরই এখান থেকে চলে যেতে পারেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

1  



পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান