পঞ্চরত্ন মন্দির / নলডাঙ্গা মন্দির
ঝিনাইদহ >> কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহ সদর থেকে প্রায় ১০ মাইল দূরে নলডাঙ্গা নামক স্থানে প্রাচীন এই পঞ্চরত্ন মন্দিরটি দেখতে পাবে। রাজা ইন্দ্রনারায়ন এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরটির মূল কক্ষের উপর ১টি চূড়া এবং এর ৪ কোনে আরও ৪টি চূড়া দেখতে পাবেন। মন্দিরটির এই ৫টি চূড়া থাকার কারনে একে পঞ্চরত্ন মন্দির বলা হয়। রাজা ইন্দ্রনারায়ন এই মন্দিরটিতে একটি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামানুসারে এই বিগ্রহটির নামকরণ করা হয় ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
গোরাক্ষনাথ মন্দির
ঠাকুরগাঁও >> রাণীশংকৈল
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে নাথপন্থীদের প্রাচীন ধর্মীয় স্থান এই গোরাক্ষনাথ মন্দির। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমোরদ গ্রামে অতি প্রাচীন এই মন্দিরটি রয়েছে। মন্দিরটির চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। দেয়ালের বাহির থেকে এর সৌন্দর্য বোঝা যায় না। তবে ভিতরে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীরা সহজেই মুগ্ধ হয়ে যান মন্দিরের নির্মাণ কৌশল দেখে। মন্দিরটির চত্বরে একটি কূপ রয়েছে, এটি গোরকুই কূপ নামে পরিচিত। কূপটির পানি সারা বছরই একই উচ্চতায় থাকে বলে, নাথপন্থীরা এই কূপের পানি পবিত্র পানি হিসেবে গন্য করেন। মন্দিরটির চত্বরে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন মন্দির দেখতে পাওয়া যাবে। মন্দিরগুলোর একটি মহাদেবের এবং অন্য দুটির মধ্যে রয়েছে শিব মন্দির ও কালী মন্দির। মন্দিরগুলোর নির্মাণ কৌশল বিশেষ করে মন্দিরের উপরের গম্বুজাকৃতির চূড়া একটি ব্যতিক্রমী নির্মাণ কৌশল। মন্দিরটি নবম শতাব্দী কিংবা তার কাছাকাছি সময়ের কোন এক সময় নির্মিত বলে ধারনা করা হয়। মন্দিরটি ঘিরে প্রতি বছরই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
ঢাকেশ্বরী মন্দির
ঢাকা >> ঢাকেশ্বরী রোড
বুয়েট (প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) এর দক্ষিণে ঢাকেশ্বরী রোডে রাজধানী ঢাকার সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে প্রাচীন একটি মন্দির এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি। দেয়াল ঘেরা এই মন্দিরটির পাশেই রয়েছে আরও কয়েকটি ছোট মন্দির। ধরনা করা হয় মন্দিরটি মোঘল আমলে নির্মিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
রাজা বাবুর বাড়ী ও লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দির
ঢাকা >> লক্ষ্মীবাজার
রাজধানী ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের রাজা বাবুর মাঠ নামক একটি স্থানের পাশেই রাজা বাবুর বাড়ী ও লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দিরটি অবস্থিত। এই রাজা বাবুর প্রকৃত নাম ছিল কৃষ্ণ প্রসাদ। রাজা বাবুর বাড়িটি একটি দ্বিতল ইমারত। নিচের তলায় রয়েছে ২টি কামরা। ইমারতের দ্বিতীয় তলাতেও দুটি কক্ষের মধ্যে একটি নাচঘর ছিল। নাচঘরটি ছিল খুবই দৃষ্টিনন্দন। এর দেয়াল ছিল অতি সুন্দর কারুকার্য খোঁচিত। অপর কামরায় একটি সিংহাসনের উপর বসানো আছে একটি লক্ষ্মী নারায়নের মূর্তি। সিংহাসনটি কাঠ ও রূপার তৈরি। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
গোপালগঞ্জ পঞ্চরত্ন / পঁচিশরত্ন মন্দির
দিনাজপুর >> দিনাজপুর সদর
দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ গ্রামে এই মন্দিরটি জীর্ণ ও ভগ্ন অবস্থায় দেখতে পাওয়া যাবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
সীতাকোট বিহার / সীতার দুর্গ
দিনাজপুর >> নবাবগঞ্জ
দিনাজপুর জেলার নওয়াবগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের দক্ষিন দিকে এই বৌদ্ধ বিহারটি দেখতে পাবেন। বিহারটি দেখতে অনেকটা দুর্গের ন্যায়। রামায়ণের কাহিনী অনুসারে, সীতার দ্বিতীয় বনবাসের সময় সীতা এখানে বাল্মীকি মুনির আশ্রয়ে একটি সুন্দর ইমারতে থাকতেন। ইমারতটি দুর্গের আকারে নির্মিত ছিল। সে কারনে এর নাম হয়েছে সীতাকোট বিহার বা সীতার দুর্গ। এই সীতাকোট বিহারটি একটি বৌদ্ধ বিহার। বিহারটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২১৪ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ২১২ ফুট। এই প্রত্নস্থলটি খননের ফলে এখানে ৪১টি কক্ষের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই সকল কক্ষগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১২ ফুট ও প্রস্থ ১১ ফুট। এদের গঠন শৈলীও একই রকমের। এর প্রধান প্রবেশ পথ ছিল বিহারের উত্তর দেয়ালে। এই প্রবেশপথ প্রায় ৬ ফুট প্রশস্ত ছিল। প্রবেশপথের দরজার দুপাশে দুটি কক্ষও ছিল। সম্ভবত এই দুটি কক্ষে প্রহরীরা থাকত। এই বিহারটিতে বাংলাদেশে আবিষ্কৃত অন্যান্য বিহারের ন্যায় বিহারের মধ্যস্থলে কোন কেন্দ্রীয় মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে বিহারের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিনের কোণে ৩টি কক্ষ মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই ৩টি মন্দির কক্ষের মধ্যে দক্ষিন কোণে অবস্থিত মন্দির কক্ষটি অপেক্ষাকৃত বড় আয়তনের ছিল। বিহারটি খ্রিষ্টীয় ৭ম শতক কিংবা এর কাছাকাছি সময়ে নির্মিত বলে মনে করা হয়। বিহারটি থেকে ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি, পোড়ামাটির ফলক, লোহার দ্রব্যাদি, মৃৎপাত্র ইত্যাদি পাওয়া গেছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
নবরথ মন্দির/ বিষ্ণু মন্দির
দিনাজপুর >> কাহারোল
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ডাবর ইউনিয়নের মাধবগাঁওয়ে নয় রথ বিশিষ্ট একটি প্রাচীন মন্দির দেখতে পাবেন। ২০১৬ সালের জুন মাসে এই মন্দিরটি আবিস্কৃত হয়। ধারনা করা হয়, মন্দিরটি দশম থেকে একাদশ শতকে নির্মিত একটি বিষ্ণু মন্দির। আবিস্কৃত এই মন্দিরে নয়টি রথ থাকায় এটিকে 'নবরথ মন্দির' বলা হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের মন্দিরের আবিষ্কার এটিই প্রথম। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
কান্তজিউ মন্দির / কান্তনগর মন্দির
দিনাজপুর >> কাহারোল
দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তনগরে রয়েছে কান্তজিউ মন্দির নামের একটি দৃষ্টিনন্দন, অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর একটি মন্দির। মূলত শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত একটি দেবালয় এই মন্দিরটি। বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের মন্দির হচ্ছে এই কান্তনগরের কান্তজিউ মন্দির। ১৭১৩ সালে দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা মহারাজ প্রাণনাথ রায় এই সুদৃশ্য মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৭২২ সালে প্রাণনাথ রায় মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র মহারাজ রামনাথ তার পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেন ১৭৫২ সালে। অতুলনীয় সৌন্দর্য ও সুনিপুণ কারুকার্যের এই চোখ ধাঁধানো মন্দিরটি নির্মাণ ও অলঙ্করণে সময় লেগেছিল প্রায় ৪০ বছর। তিনটি ৩ ফুট উঁচু পাথরের ভিতের উপর বর্গাকারে সম্পূর্ণ ইট দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে এই মন্দিরটি। এই ভিত ব্যতিত মন্দিরের নির্মাণ কাজে কোথাও পাথরের ব্যবহার দেখা যায় নি। মন্দিরটির প্রতি দিকের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫১ ফুট। মন্দিরের গৃহগর্ভের চারদিকে বারান্দা রয়েছে। বারান্দাগুলোর নির্মাণ কৌশল ও অলঙ্করণ একই শৈল্পিক রীতিতে করা। বারান্দার মাঝখানে দুটি মোটা স্তম্ভ রয়েছে। এই স্তম্ভগুলো নকশাযুক্ত। মন্দিরটিতে ৯টি চূড়া থাকায় একে নবরত্ন মন্দিরও বলা হয়। কান্তজিউ মন্দিরের প্রাধান আকর্ষণ মন্দিরটির টেরাকোটা ফলকসমৃদ্ধ অলঙ্করণ। এসকল পোড়ামাটির ফলকে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের জীবনালেখ্য। এগুলোর মধ্যে মহাকাব্য রামায়ণের কাহিনী দৃশ্য, কৃষ্ণের কাহিনী দৃশ্য, বিভিন্ন দেবদেবীর চিত্র, রাজকীয় শোভাযাত্রা, নর্তক-নর্তকীর দৃশ্য, সামাজিক দৃশ্য, মৃগয়ার দৃশ্য, যুদ্ধের দৃশ্য, পারিবারিক দৃশ্য ইত্যাদি। এসকল জীবনালেখ্যের সাথে আরও স্থান পেয়েছে লতাপাতার নকশা, জ্যামিতিক নকশা, নানা ধরনের পশু-পাখির চিত্র। কান্তজিউ মন্দিরের ঐতিহ্য ও হিন্দুদের বার্ষিক ধর্মীয় অনুস্থান পালনে এখানে রাসপূর্ণিমায় ১৫ দিনের মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
পঞ্চায়াতন মন্দির/ বটকৃষ্ণ রাজারবাড়ি
নওগাঁ >> ধামইরহাট
নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার জগদ্দল মৌজায় দেখতে পাবেন এই পঞ্চায়াতন মন্দিরটি। চারকোনাকার একটি প্রত্নস্থলে এই মন্দিরটি রয়েছে। প্রত্নস্থলের ৪ বাহুতে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ দেখতে পাওয়া যাবে। এখানে একটি প্রধান মূর্তি কক্ষ রয়েছে। এই মূর্তিকক্ষের চারপাশে আরও চারটি মূর্তি রাখার স্থান। মূর্তিগুলোর অবস্থান বিন্যাস অনুযায়ী এটি পঞ্চায়াতন মন্দির হিসেবে গন্য করা হয়। স্থাপনাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন পঞ্চায়াতন মন্দির নিদর্শন হিসেবে গন্য করা হয়। মন্দিরটির বেশকিছু অংশে প্রচুর পলিশকৃত কালোপাথরের ব্যবহার চোখে পড়বে। এসকল কালোপাথরের গায়ে নানা দেবদেবীর মূর্তি অংকিত। এই প্রত্নস্থল থেকে উদ্ধারকৃত পোড়ামাটির ফলক, মৃৎপাত্র, লিপিভাষ্য ইত্যাদি হতে ধারনা করা হয়, প্রত্নস্থলটি ১২-১৩ শতকে নির্মিত হতে পারে। অনেকেই এই মন্দিরটিকে জগদ্দল মহাবিহারের একটি অংশ বলে মনে করেন। প্রত্নস্থলটি স্থানিয়দের অনেকের নিকট বটকৃষ্ণ রাজারবাড়ি নামেও পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
জোড় বাংলা মন্দির
পাবনা >> পাবনা সদর
পাবনা জেলা শহরের জোড় বাংলা নামের একটি স্থানে জোড় বাংলা মন্দির নামের এই মন্দির দেখতে পাবেন। মন্দিরটি ইট দ্বারা নির্মিত। একটি ভেদীর উপর এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অবস্থানরত মন্দির দুটি গ্রাম বাংলার দোচালা ঘরের রীতিতে নির্মিত বলে এদেরকে জোড় বাংলা মন্দির নামে নামকরন করা হয়েছে। মন্দিরটি একটি ছোট মন্দির। মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে ৩টি প্রবেশপথ। প্রবেশপথে দুটি স্তম্ভ এই প্রবেশপথকে ৩ ভাগে ভাগ করেছে। ইমারতটির দেয়াল ও স্তম্ভে দেবদেবীর মূর্তিসহ অসংখ্য টেরাকোটা খোদিত আছে। মন্দিরটি মেরামত করা হলেও এটি এর প্রাচীনত্ব ঠিকই পূর্বের ন্যায় আছে। বজ্রমোহন ক্রৌড়ী নামক এক তহশিলদার আঠার শতকে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন বলে জনশ্রুতি আছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন