পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান


শালবন বিহার/ শ্রীভবদেব মহাবিহার
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

শালবন বিহারটি কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি স্থানে এই বিহারটির অবস্থান। বিহারটি প্রায় বর্গাকারে নিরমিত। যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৫০ ফুট। বিহারটিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার জন্য প্রায় ১১৫ টি কক্ষ ছিল। ভিক্ষুদের জন্য নির্মিত এই সকল কক্ষগুলোও বর্গাকারে নির্মিত ছিল। ভিক্ষুদের জন্য নির্মিত এসকল কক্ষের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৩.৬৬ মিটার। দুটি কক্ষের মধ্যবর্তী দেয়ালের প্রশস্থতা ছিল প্রায় ১.৫ মিটার। শালবন বিহারটির মূল নাম শ্রীভবদেব মহাবিহার। এই মহাবিহার এলাকায় প্রচুর শাল গাছ থাকায় বিহারটি শালবন বিহার নামেই অধিক পরিচিতি পায়। বিহারটি থেকে প্রাপ্ত প্রত্ন নিদর্শনগুলো সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ের বলে অনুমান করা হয়। এই বিহারে একটি কেন্দ্রীয় মন্দিরের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে। বিহারের উত্তরদিকে একটি মাত্র প্রবেশপথ রয়েছে। এই প্রবেশপথের দুই পাশে দুটি কক্ষের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই কক্ষ দুটি প্রহরী কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে মনে করা হয়। বিহারটির উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে ক্রুশাকার মন্দিরটি খুবই আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। মন্দিরটি খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দির বাংলার বৌদ্ধ স্থাপত্যসমূহের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অপূর্ব নিদর্শন। মন্দিরের ভিত্তিভূমির দেয়ালটি টেরাকোটা সমৃদ্ধ। এসকল টেরাকোটায় তৎকালীন বাংলার লোকায়িত শিল্পের দৃশ্য নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিহারটিতে ৬টি নির্মাণ যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪টি নির্মাণ যুগের অস্তিত্ব স্পষ্টরূপে প্রকাশ পেয়েছে। বিহারটিতে মন্দির, ভিক্ষুদের কক্ষ ছাড়াও স্তুপ, ভোজনালও, রান্না কক্ষ ইত্যাদি এর অস্তিত্বও পাওয়া গেছে। এই প্রত্নস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাম্রশাসন, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য টেরাকোটা ফলক, পোড়ামাটির সীল, পাথর ও ব্রোঞ্জের মূর্তি ইত্যাদি পাওয়া গেছে। এগুলোর অধিকাংশই বর্তমানে ময়নামতি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

চারপত্র মুড়া
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় এই চারপত্র মুড়াটি দেখতে পাওয়া যাবে। কুটিলা মুড়া থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট সমতল পাহাড়ের চূড়ায় এই চারপত্র মুড়াটির অবস্থান। এই মুড়াটির পূর্ব দিকে প্রবেশপথ রয়েছে। এখানে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আয়তাকারে নির্মিত এই মন্দিরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ১২ মিটার। মুড়াটিতে এই মন্দির ছাড়াও একটি হলরুম ছিল। এই হলরুমে চারটি স্তম্ভ ছিল। মুড়াটির মন্দিরের কক্ষ থেকে ৪টি তাম্রলিপি উদ্ধার করা হয়েছে বলে এই মুড়াটি চারপত্র মুড়া নামে পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

আনন্দ বিহার / আনন্দ রাজার বাড়ি
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

আনন্দ বিহারটি স্থানীয়ভাবে আনন্দ রাজার বাড়ি নামেই বেশি পরিচিত। কুমিল্লায় আবিষ্কৃত লালমাই-ময়নামতির বিহারসমূহের মধ্যে এই আনন্দ বিহারটি আয়তনে বড়। এবং বাংলাদেশে এ যাবত আবিষ্কৃত বিহারগুলোর মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তর বিহার। বিহারটি বর্গাকারে নির্মিত। বিহারটির মধ্যভাগে একটি কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বিহারের ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বেশকয়েকটি কক্ষ। সপ্তম শতাব্দির শেষ সময়ে কিংবা অষ্টম শতাব্দির প্রথম দিকে দেব বংশের তৃতীয় রাজা শ্রী আনন্দ দেব এই বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। বিহারটি দ্বাদশ শতক পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এই বিহারটি খননে এখানে ৩টি নির্মাণ যুগের নিদর্শন পাওয়া যায়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

রূপবান মুড়ার বৌদ্ধ বিহার
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) এর নিকট কালীবাজার রাস্তা সংলগ্ন স্থানে এই রূপবান মুড়াটি দেখতে পাবেন। মুড়াটি একটি উঁচু ঢিবির উপর অবস্থিত। এই মুড়াটি খননের ফলে এখানে একটি মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি বিহার ও দুটি নিবেদন স্তূপের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। বিহারটি বর্গাকারে নির্মিত। বিহারটি সপ্তম শতক থেকে দশম শতক পর্যন্ত চলমান ছিল বলে মনে করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

চণ্ডি মুড়া
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

লালমাই এলাকার বড়ধর্মপুর নামক একটি গ্রামে এই মুড়াটি দেখতে পাবেন। এখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুটি মন্দির রয়েছে। মন্দির দুটির নির্মাণ কৌশল বাংলার অন্যান্য মন্দিরের তুলনায় ভিন্ন। মন্দির দুটি অনেকটা বৌদ্ধ প্যাগোড়ার মত করে নির্মিত। চণ্ডিমুড়া নামের একটি পাহাড়ের উপর এই মন্দির দুটি রয়েছে বলে এই প্রত্নস্থলটি চণ্ডিমুড়া নামে পরিচিত। মন্দির দুটি এক কক্ষ বিশিষ্ট। দুটি মন্দিরের একটিতে শিব পূজা করা হয় এবং অপরটিতে চণ্ডী পূজা করা হয়। পাহাড়ের উপর এই মন্দির দুটিতে যাওয়ার জন্য পাহাড়ের গাঁ বেয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সিঁড়ি। পাহাড়ি পরিবেশের মধ্যে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই দুটি মন্দির আঠার শতকে নির্মিত বলে মনে করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

ইটাখোলা মুড়া
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত এই ইটাখোলা মুড়াটি শালবন বিহার থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে। একটি উঁচু পাহাড়ের উপরে এই মুড়াটি দেখতে পাবেন। এই প্রত্নস্থলে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিহারটি খননে এখানে ২টি নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই প্রত্নস্থল থেকে যেসকল প্রত্নসামগ্রী পাওয়া গেছে তার মধ্যে পাথরের মূর্তি, ধাতুমূর্তি, নকশাকৃত ইট, পোড়ামাটির সীল, লিপিকৃত ইট, ব্রোঞ্জের মূর্তি, রূপার মুদ্রা, বুদ্ধ মূর্তির অংশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রত্নসামগ্রীগুলি অষ্টম থেকে নবম শতকে নির্মিত বলে মনে করা হয়। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

কৌটিল্য মুড়া / কুটিলা মুড়া / ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহার
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

কৌটিল্য মুড়াটি শালবন বিহার থেকে প্রায় ৩ মাইল উত্তরে কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় দেখতে পাবেন। মুড়াটি কুটিলা মুড়া নামেও পরিচিত। এই মুড়ার গঠন ও নির্মাণ অন্যান্য মুড়া থেকে আলাদা। মুড়াটি খননের ফলে ৩টি স্তূপ উন্মোচিত হয়। এই ৩টি স্তূপ বৌদ্ধ ধর্মের ৩টি প্রতীককে প্রতিনিধিত্ব করে। এই ৩টি স্তূপের কারনে মুড়াটি ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহার নামেও পরিচিত। প্রতীক ৩টি হলো - বুদ্ধ বা জ্ঞান, ধর্ম বা ন্যায় এবং সংঘ বা শৃংখলা। উপমহাদেশে এই ধরনের বিহার এই একটিই। মুড়ার কেন্দ্রীয় স্তূপটির মধ্যস্থলে একটি গোলাকার ছোট কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। এই কেন্দ্রীয় কক্ষের চারপাশে আরও ৮টি কক্ষ ছিল। এই সকল কক্ষ এবং কক্ষের দেয়াল ইট দ্বারা নির্মিত ছিল। কক্ষগুলোতে টেরাকোটা ও কাদামাটির তৈরি নিবেদন স্তূপ, সীল মোহর, পাথরের ভাস্কর্য পাওয়া গেছে। ধারনা করা হয় এই প্রত্নস্থলটি খ্রিষ্টীয় ৭ শতক বা তারও পূর্বের হতে পারে। এবং ১৩ শতক পর্যন্ত এর ব্যবহার ছিল। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

কোটবাড়ী
কুমিল্লা >>  সদর দক্ষিন

বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন নিদর্শনগুলোর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল এই কোটবাড়ী। এখানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের একটি ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। কুমিল্লা- কোটবাড়ী সড়কের পাশে এই প্রাচীন বিহারটি রয়েছে। বিহারটি খননের সময় বেশ কয়েকটি প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুসমুহ জাদুঘরে সংরক্ষণ করা আছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন

First  Previous  1  2  3  4  



পর্যটন বাংলাদেশ - বাংলাদেশ ভ্রমণ - বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান