ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার
ঢাকা >> সবুজবাগ (থানা)
এটি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ বৌদ্ধ বিহার। ১৯৬০ সালে বৌদ্ধ পণ্ডিত বিশুদ্ধানন্দ মহাথের রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ থানার বাসাবোতে এই বিহারটি নির্মাণ করেন। ভারতের বুদ্ধগয়ার যে বোধিবৃক্ষের নিচে বসে গৌতম বুদ্ধ ধ্যান করতেন, সেই বৃক্ষের একটি শাখা রয়েছে এই ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে। বিহারটিতে দুটি আকর্ষণীয় বৌদ্ধমূর্তি রয়েছে। এর একটি শ্বেতপাথরের তৈরি এবং অপরটি থাইল্যান্ড থেকে প্রাপ্ত কালো পাথরের তৈরি। এছাড়াও পাল আমলের একটি কালো পাথরের বুদ্ধমূর্তি ও বিভিন্ন দেশের বুদ্ধমূর্তি রয়েছে। বিহারটিতে একটি পাঠাগার ও যাদুঘর রয়েছে। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার চীন থেকে পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের দেহভস্ম, স্বহস্তে অংকিত ছবি ও তার লেখার পাণ্ডুলিপি এখানে এনে সংরক্ষণ করে। থাইল্যান্ডের রাজপুত্র মহা ভজিরালংকরন এর পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১০ সালে এখানে নির্মিত হয় দেশের সর্বোচ্চ বৌদ্ধ মূর্তি। অষ্টধাতুর তৈরি এই মূর্তিটির উচ্চতা ৩৮ ফুট। তবে, ৫৬ পাপড়ি বিশিষ্ট পদ্মসহ এর উচ্চতা ৪৮ ফুট। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
জগদ্দল মহাবিহার
নওগাঁ >> ধামইরহাট
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জগদ্দল মহাবিহারটি দেখতে পাবেন। ঐতিহাসিক এই প্রত্নস্থলটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০৫ মিটার এবং প্রস্থে প্রায় ৮৫ মিটার লম্বা। প্রত্নস্থলটি খননে ১১টি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকার কক্ষ আবিষ্কৃত হয়েছে। কক্ষগুলো বর্গাকারে নির্মিত। পাল বংশের রাজা রামপাল তার শাসনামলে এই বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। সে হিসেবে বিহারটি ১০৭৭ সাল হতে ১১২০ সালের মধ্যে নির্মিত। বিহারের দক্ষিন-পশ্চিম দিকে একটি টাওয়ারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ধারনা করা হয়, এটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ছিল। বিহারটি থেকে পাথরের মূর্তি, পোড়ামাটির ফলক, অলঙ্কৃত ইট, মৃৎপাত্র, পাথরের গুটি ইত্যাদি প্রত্নসামগ্রী পাওয়া গেছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
পাহাড়পুর বিহার / সোমপুর বিহার
নওগাঁ >> বদলগাছি
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ বিহার নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। শান্তাহার-পার্বতীপুর রেল লাইনের জামালগঞ্জ স্টেশন হতে প্রায় ৩ মাইল পশ্চিমে এই বিহারটি দেখতে পাবেন। ৮০০-৯০০ সালে দ্বিতীয় পালরাজা ধর্মপাল এই বিহারটি নির্মাণ করেন। এটি একটি মহাবিহার। বিহারটির নির্মাণকালীন নাম সোমপুর মহাবিহার। বিহারটি উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মন্দির ও স্তূপ। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিহারগুলোর মধ্যে একটি। বিহারটি দুর্গের ন্যায় নির্মিত হয়েছিল। বৃহৎ এই স্থাপত্য কীর্তিটিতে ১৭৭টি বৌদ্ধ ভিক্ষুর কক্ষ, নিবেদন স্তূপ, ছোট ছোট মন্দির, একটি কেন্দ্রীয় মন্দির ছিল। ২৭ একর জমির ওপর এ বিহারটি নির্মিত।
বিহারের মধ্যে বিশাল আঙ্গিনার মধ্যে ছিল কেন্দ্রীয় মন্দিরটি। এটি দেখতে অনেকটা ক্রুশের মত। মন্দিরের দেয়াল ইট ও কাঁদা দিয়ে নির্মিত। মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০৮ মিটার এবং প্রস্থে প্রায় ৯৫ মিটার লম্বা। মন্দিরের উপরের অংশ এখন আর টিকে নেই। বর্তমানে মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ৭২ ফুট। এই কেন্দ্রীয় মন্দিরটি স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন। মন্দিরের গায়ে লাগানো পোড়ামাটির চিত্রফলকের সংখ্যা প্রায় ২০০০। তবে পূর্বে আরও বেশি ছিল। এই বিহারটির প্রধান আকর্ষণ পালযুগে নির্মিত এইসকল পোড়ামাটির ফলকচিত্র।
বিহারের সীমানা দেয়াল বরাবর ভিতরের দিকে সারিবদ্ধভাবে ছোট ছোট কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। এগুলো ভিক্ষুদের জন্য নির্ধারিত কক্ষ। কক্ষগুলোর সীমানা দেয়াল ছিল প্রায় ১৬ ফুট প্রশস্ত। এবং দেয়ালের ভিতরের সারিবদ্ধ কক্ষগুলোর প্রত্যেকটি ছিল দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৪ ফুট এবং প্রস্থে ১৩ ফুট। কক্ষগুলোর সামনে বারান্দা ছিল। বিহারটির প্রধান প্রবেশপথ ছিল উত্তরদিকে।
এ প্রত্নস্থল থেকে প্রাপ্ত লিখিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন যেটি পাওয়া গেছে সেটি ৪৭৯ সালের একটি তাম্রশাসন। মন্দিরের বাহিরের দেয়ালের পোড়ামাটির ফলকচিত্র বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ফলকচিত্রে বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত চিত্র ছাড়াও লোকায়েত শিল্পের নিদর্শনও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তৎকালীন সমাজের সাধারন মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-নিরাশা ও দৈনন্দিন কাজকর্ম ইত্যাদি এই লোকায়েত শিল্পে তুলে ধরা হয়েছে। পোড়ামাটির ফলকে জৈন, বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মের নানা দেবদেবীর চিত্র সুন্দর ও নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লোকায়েত শিল্পের অন্যান্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নারী, দণ্ড হাতে দণ্ডায়মান পুরুষ, তলোয়ার হাতে চলমান ভঙ্গিতে যোদ্ধা, শাড়ি পরিহিত নারী, নৃত্যরত নারী, শিশুসহ নারী, উটের পিঠে মানব, অলঙ্কৃত নারী, ব্যায়ামরত শারীরিক কসরত, নারী ও পুরুষ যোদ্ধা, রথ আরোহী তীরন্দাজ, পথিক, সন্ন্যাসী, পূজারী, লাঙ্গল কাঁধে কৃষক, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রসহ নর-নারী সমাজের বিভিন্ন বাস্তবচিত্র। জীব জগতের প্রাণীর মধ্যে টেরাকোটায় স্থান পেয়েছে সাপ ভক্ষণরত রাজহাঁস, ফণা তোলা সাপের মাথায় মণি, ভাল্লুক ও চিতা বাঘের লড়াই, দুই মাথাযুক্ত সাপ, পদ্মকলি ভক্ষণরত রাজহাঁস, পদ্মকলি ভক্ষণরত ময়ূর, কুকুর, পেখম মেলা ময়ূর, শামুক, লাফ দায়া ভঙ্গিমায় হরিণ, বাঘ, মহিষ, মাছ, বানর, হাতি, সিংহ, শূকর, কাছিম, ঘোড়া, বেজী, খরগোশ, ষাঁড়, গাধা, পাতিহাঁস, ঈগল, মোরগ-মুরগী ইত্যাদি। উদ্ভিদের মধ্যে পদ্ম, কলাগাছ, লতাপাতা ইত্যাদি স্থান পেয়েছে পোড়ামাটির বিভিন্ন চিত্রফলকে। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (ঐতিহ্য নং ৩২২) হিসেবে ঘোষণা করে।
বিহারের পূর্ব-দক্ষিন কোণে প্রাচীরের বাহিরে একটি বাঁধানো ঘাট দেখতে পাওয়া যাবে, এটি সন্ধ্যাবতীর ঘাট নামে পরিচিত। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
রাজা ধর্মপালের গড়/দুর্গ ও বৌদ্ধ মন্দির
নীলফামারী >> জলঢাকা
নীলফামারী জেলার জলঢাকায় একটি বৌদ্ধ মন্দির দেখতে পাবেন। ধারনা করা হয়, মন্দিরটি পাল আমলের ধর্মপালের রাজত্বকালে নির্মিত। রাজা ধর্মপাল ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অঞ্চলের দ্বিতীয় শাসক ছিলেন। তার রাজত্বকাল ছিল আনুমানিক ৭৮১ - ৮২১ সাল পর্যন্ত। রাজা ধর্মপাল নীলফামারীতে একটি রাজধানী স্থাপনও করেছিলেন। স্থানটি হলো ধর্মপাল ইউনিয়ন। রাজা ধর্মপালের এই রাজধানীটি মাটি দ্বারা নির্মিত এক উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। যা পরবর্তীতে রাজা ধর্মপালের গড় বা দুর্গ নামে পরিচিতি পায়। এখানেই আবিষ্কৃত হয়েছে একটি পুরাতন বৌদ্ধ মন্দিরটি। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার
পটুয়াখালী >> কলাপাড়া
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে দেখতে পাবেন মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার। লতাচাপলী ইউনিয়নের রাখাইন বসতি পাড়া কেরানীপাড়া নামক একটি স্থানে এই বৌদ্ধ বিহারটি রয়েছে। বিহারের অভ্যন্তরে স্থাপিত বৌদ্ধ মূর্তিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬ ফুট। এটি দেশের বুদ্ধ মূর্তিগুলোর মধ্যে ধ্যানে বসাবস্থায় সবচেয়ে বড় মূর্তি। রিক্সা, ভ্যান কিংবা মোটর সাইকেলে যেতে পাবেন এখানে। বিহারটি পাশেই থাকেন বিহারটির রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বে থাকা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। বিহারটি বন্ধ থাকলে তাদের অনুরোধ করলেই খুলে দিবে এই মন্দিরটি। চাইলে ছবিও তুলতে পাবেন এখানে। মন্দিরের ভেতর যে এত বড় একটি বুদ্ধ মূর্তি আছে সেটা ভেতরে না দেখলে কেউই বুঝতে পারবে না। এই মন্দিরটির পাশেই দেখতে পাবেন একটি প্রাচীন কুয়া।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহারটি দেখতে হলে কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক কিংবা স্থানীয় ভ্যানগাড়িতে করে আসতে পারবেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
কুয়াকাটা বৌদ্ধ বিহার
পটুয়াখালী >> কলাপাড়া
পটুয়াখালী জেলার জনপ্রিয় পর্যটন স্থান কুয়াকাটা সৈকতের খুব কাছেই দেখতে পাবেন একটি বৌদ্ধ মন্দির। এটি অষ্টধাতুর মন্দির নামেও পরিচিত। ৮টি ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে মন্দিরের বুদ্ধ মূর্তিটি। শুধুমাত্র বৌদ্ধ মূর্তিটি নয়, মন্দিরটির নির্মাণ কৌশলও আপনাকে মুগ্ধ করবে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
রামজাদি
বান্দরবান >> বান্দরবান সদর
বান্দরবন জেলা শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বান্দরবন-রোয়াংছড়ি সড়কের পাশে কালাঘাট এলাকায় এই রামজাদিটির অবস্থান। রামজাদি একটি মন্দির। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
স্বর্ণজাদী / গোল্ডেন টেম্পল ও দেবতা পুকুর
বান্দরবান >> বান্দরবান সদর
বান্দরবন ঘরতে এসে স্বর্ণজাদী মন্দিরটি না দেখে ফিরব, তা কি আর হয়? শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই মন্দিরটি। স্বর্ণজাদীটির আসল নাম বুদ্ধধাতু চেতী। স্থানটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র এক তীর্থস্থান। স্বর্ণজাদীটির রং স্বর্ণের মতই, তাই অনেকেই একে স্বর্ণমন্দিরও বলে। দেশের একমাত্র স্বর্ণজাদী এটি। একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই বেশ লম্বা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এখানে যেতে হবে। এখানে পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি পুকুর, যা দেবতা পুকুর নামে পরিচিত। স্বর্ণজাদীটিতে ঘুরতে এলে আপনার মনে হবে, এটি যেন মিয়ানমারের কোন এক ধর্মীয় স্থান ভ্রমনে এসেছেন। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
বিহার ও বাসু বিহার
বগুড়া >> শিবগঞ্জ
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক প্রত্নস্থল মহাস্থানগড়ের প্রায় ৪ মাইল দূরে অবস্থিত দুটি গ্রাম বিহার ও বাসু বিহার। এই দুটি গ্রামেও আছে আরও দুটি ঐতিহাসিক প্রত্নস্থল। বিহার দুটি প্রায় বর্গাকারে নির্মিত। দুটি গ্রামের বিহার দুটির মধ্যে বসুবিহারটি অপেক্ষাকৃত বড়। বসুবিহারে ৩০টি বৌদ্ধ ভিক্ষুর বাসকক্ষ ছিল এবং বিহারে ছিল ২৬টি কক্ষ। এ কক্ষগুলো ইট দ্বারা নির্মিত। এ দুটি প্রত্নস্থল হতে ব্রোঞ্জের মূর্তি, তৈজসপত্র, পোড়ামাটির সীল, পোড়ামাটির ফলক, নকশাকৃত ইট, অলঙ্কার, মৃৎপাত্র, ব্রোঞ্জ, লোহা ও তামার দ্রব্যাদি ছাড়াও অনেক প্রত্নসামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। এসকল প্রত্ন সামগ্রী বর্তমানে মহাস্থানগড়ের জাদুঘরে রাখা আছে। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন
বৈরাগীর ভিটা
বগুড়া >> শিবগঞ্জ
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড়ে এই ভিটাটি দেখতে পাবেন। এটি পশুরামের ভিটার উত্তরে রয়েছে। এটি একটি বিশালাকৃতির আয়তাকার ঢিবি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ২৬০ ফুট। ঢিবিটির উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট। এই ঢিবি খননের ফলে এখানে প্রথম ও শেষ পাল যুগের দুটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। মন্দির দুটি খ্রিষ্টীয় সপ্তম কিংবা অষ্টম শতাব্দি এবং অপরটি খ্রিষ্টীয় একাদশ শতাব্দিতে নির্মিত বলে মনে করা হয়। এই মন্দিরের মূল কক্ষ ছিল অভ্যন্তরে এবং এই মূল কক্ষটির চারপাশে ইট দ্বারা নির্মিত অনেকগুলো ছোট ছোট কক্ষ ছিল। ...... সম্পূর্ণ অংশ পড়ুন